Taiwan Earthquake: ছিটকে পড়ছে ঘরের জিনিসপত্র, ঢেউয়ের মতো ওঠানামা করছে বাড়ি! ভরদুপুরেই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Oct 24, 2021 | 2:10 PM

Massive Earthquake in Taiwan: স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই ধরনের ভয়াবহ কম্পন তারা আগে কখনও অনুভব করেননি। একাধিক বাড়ির জানলা ভেঙে গিয়েছে, দেওয়ালে ফাটল ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন দোকানপাটে সাজানে সমস্ত সামগ্রীও লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে।

Taiwan Earthquake: ছিটকে পড়ছে ঘরের জিনিসপত্র, ঢেউয়ের মতো ওঠানামা করছে বাড়ি! ভরদুপুরেই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের পর দোকানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে জিনিসপত্র। ছবি: টুইটার

Follow Us

তাইপেই: রবিবারের দুপুরে ভাত ঘুম দিচ্ছিলেন, সেই সময়ই ভয়ঙ্করভাবে দুলতে শুরু করল মাথার উপরের লাইট-ফ্যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভয়ঙ্করভাবে দুলে উঠল গোটা বাড়িটাই। ভয়ে কোনও মতে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতেই দেখা গেল, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কয়েকশো মানুষ। রবিবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল তাইওয়ান (Taiwan)। রাজধানী তাইপেই (Taipei)-র বাসিন্দারা ভয়ঙ্কর দুলুনি অভিজ্ঞতা করলেও প্রশাসনের তরফে এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো হয়নি।

তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার ব্যুরোর তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.৫। যদিও মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ৬.২ ছিল। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল উত্তর-পূর্ব তাইওয়ানে অবস্থিত ইয়াল  শহর। স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ১১ মিনিটে (ভারতীয় সময়ে ভোর ৫টা ১১ মিনিট) ভূমিকম্প শুরু হয়। মাটি থেকে ৬৭ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বলে জানা গিয়েছে। ইলানে প্রায় ৩০ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক জানান, আচমকাই বাড়ির দেওয়াল কাঁপতে শুরু করে। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো ওঠানামা করছিল বাড়িটা। ভূমিকম্পের তীব্রতা যে অনেক বেশি ছিল, তা কম্পন দেখেই আন্দাজ করা গিয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে এখনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি নিয়ে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের কিছুক্ষণের মধ্যেই আফটার শক অনুভূত হয়। সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪। পরপর দুবার কম্পনের জেরে তাইপেই-র এমআরটি মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় সাবধানতাবশত। কয়েক ঘণ্টা পরে ফের মেট্রো পরিষেবা সচল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ভূমিকম্পের সময়ে যারা মেট্রোর ভিতরে ছিলেন, তারা বলেন, অনেকটা রোলারকোস্টার যেভাবে ওঠানামা করে, সেভাবেই কেঁপে উঠেছিল মেট্রো।  পরবর্তী স্টেশনে মেট্রো থামতেই অধিকাংশ যাত্রীরা নেমে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভূমিকম্পের ভিডিয়ো পোস্ট করতে শুরু করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই ধরনের ভয়াবহ কম্পন তারা আগে কখনও অনুভব করেননি। একাধিক বাড়ির জানলা ভেঙে গিয়েছে, দেওয়ালে ফাটল ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন দোকানপাটে সাজানে সমস্ত সামগ্রীও লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

দুটি টেকটনিক প্লেটের মাঝে অবস্থান করায় প্রায়সময়ই তাইওয়ানে ভূমিকম্প হয়ে থাকে।  এর আগে ২০১৮ সালে হুয়ালিয়ান নামক একটি পর্যটন কেন্দ্রে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং কমপক্ষে ৩০০ জন আহত হয়েছিলেন। তার আগে ১৯৯৯ সালে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে, সেই সময় প্রায় ২৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়। এটিকে ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প বলেই মনে করা হয়।

Next Article