South Korea Emergency: দক্ষিণ কোরিয়ার রাস্তায় নামল ট্যাঙ্ক, রাতভর ধুন্ধুমার! জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেও কেন ৬ ঘণ্টায় প্রত্যাহার করতে হল?
Martial Law: সিওলের রাস্তায় প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের গ্রেফতারির দাবিও তোলা হয়। মার্শাল ল লাগু করতে প্রশাসনের তরফে যুদ্ধে ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক পর্যন্ত নামানো হয়। সংসদ ভবনের ছাদে নামানো হয় হেলিকপ্টার। জোর করে ঢোকে সেনাবাহিনী।
সিওল: জরুরি অবস্থা (Emergency) ঘোষণা করেও পিছু হটতে হল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে। ৬ ঘণ্টার মধ্যেই দেশ থেকে মার্শাল ল প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। মঙ্গলবার রাতেই তিনি দক্ষিণ কোরিয়া জুরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। কিন্তু সংসদের দাবি মেনে সেই অবস্থান থেকে পিছু হটলেন তিনি। এটাই দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সবথেকে কম মেয়াদে লাগু হওয়া মার্শাল ল (Martial Law)।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিরোধীরা, এই দাবি করেই মঙ্গলবার রাতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। লাগু করেন মার্শাল ল। এই আইনের অধীনে মিটিং-মিছিল করার অধিকার কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ থাকে সরকারের হাতে। কোনও পরোয়ানা ছাড়াই কারোর বাড়ির তল্লাশি নেওয়া যায়। বিরোধিতা করলে আটক, গ্রেফতারও করা যায়।
প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেও, তার তীব্র বিরোধিতা করেন আইন প্রণেতারা। সিওলের রাস্তায় প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের গ্রেফতারির দাবিও তোলা হয়। মার্শাল ল লাগু করতে প্রশাসনের তরফে যুদ্ধে ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক পর্যন্ত নামানো হয়। সংসদ ভবনের ছাদে নামানো হয় হেলিকপ্টার। জোর করে ঢোকে সেনাবাহিনী।
Breaking: More and more people in South Korea 🇰🇷 have gathered in the streets to protest the declaration of martial law. May God Bless South Korea 🇰🇷 pic.twitter.com/Q0RWLOuAx3
— Xsr (@newbornXser) December 3, 2024
এদিকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই সেনাকে এড়িয়ে সংসদে ঢোকেন ১৯০ জন সাংসদ। তারা মার্শাল ল জারির বিরুদ্ধে ভোট দেন। এরপরই চাপের মুখে পড়ে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, ক্যাবিনেট বৈঠকে মার্শাল ল প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, ৩০০ সদস্যের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যই যদি আইনের বিপক্ষে ভোট দেন, তবে সামরিক আইন বা মার্শাল ল প্রত্যাহার করে নিতে হবে।