Bank KYC: ব্যাঙ্কে না গিয়েই বলছে KYC আপডেট হয়ে যাবে? একটু সাবধান, মুহূর্তে কিন্তু গায়েব হচ্ছে টাকা

KYC: কয়েক দিন আগেই ঠিক এই ভাবে প্রতারিত হয়েছেন সল্টলেকের বিবি ব্লকের বাসিন্দা কল্যাণকুমার চক্রবর্তী। ফোনে KYC পর্ব শেষের পরেই বৃদ্ধ বুঝতে পারেন তাঁর সঞ্চিত ৫ লক্ষ টাকার বেশি লোপাট। বিধাননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানান ওই বৃদ্ধ। যার মধ্যে একটি বিশেষ বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সেজে প্রতারণার ঘটনা সব চেয়ে বেশি।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2024 | 10:30 AM

কলকাতা: আপনাকে কি ফোন করে বলা হয়েছে KYC রিভেরিফিকেশন করতে হবে? তার জন্য যেতে হবে না ব্যাঙ্কে। ভিডিয়ো কলেই কয়েক মিনিটে রিভেরিফিকেশন হয়ে যাবে? তা হলে সাবধান…। কারণ ব্যাঙ্কের তরফে নয়, ফোন এসেছে কোনও জালিয়াতের কাছ থেকে। আজকাল অনেকেই সময়ের অভাবে বা বয়সজনিত কারণে ব্যাঙ্কে যেতে পারেন না। অনলাইনে ভেরিফিকেশনের প্রস্তাব দিলে তাঁরা সহজেই রাজি হয়ে যান। আর এখানেই ফাঁদ পেতে বসে জালিয়াতরা! অনলাইন KYC ভেরিফিকেশনের কথা বলে ভিডিয়ো কলে হাতিয়ে নিচ্ছে তথ্য! তারপরই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও টাকা! জালিয়াতদের টার্গেট মূলত প্রবীণ নাগরিকরা।

কয়েক দিন আগেই ঠিক এই ভাবে প্রতারিত হয়েছেন সল্টলেকের বিবি ব্লকের বাসিন্দা কল্যাণকুমার চক্রবর্তী। ফোনে KYC পর্ব শেষের পরেই বৃদ্ধ বুঝতে পারেন তাঁর সঞ্চিত ৫ লক্ষ টাকার বেশি লোপাট। বিধাননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানান ওই বৃদ্ধ। যার মধ্যে একটি বিশেষ বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সেজে প্রতারণার ঘটনা সব চেয়ে বেশি।

কী ভাবে চলছে জালিয়াতি চক্র?

প্রথমে টার্গেটেড ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট নম্বর থেকে শুরু করে অন্য সব তথ্য জেনে ফোন করছে। তারপর ভিডিও কলের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড স্ক্যান করে নিচ্ছে। বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে প্রতারকরা ব্যাঙ্কের চেম্বারের মতো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ভিডিয়ো কল করছে। পিছনে থাকছে ব্যাঙ্কের লোগোও।

জালিয়াতদের কাছে এই সুনির্দিষ্ট তথ্য পৌঁছচ্ছে কীভাবে?

ব্যাঙ্ক অনেক ক্ষেত্রে থার্ড পার্টিকে দিয়ে কাজ করায়। তা হলে কি কোনও ভাবে সেখান থেকে গ্রাহকদের তথ্য পাচার হচ্ছে? নাকি ব্যাঙ্ক থেকে ডেটাবেস লিক?

এ প্রসঙ্গে সাইবার আইনজীবী সৌম্য দত্ত বলেন, “ভেন্ডার বা কর্মচারিরা যদি এই তথ্য পাচার না করে থাকে তাহলে এই জালিয়াতি হয় না। কোথা থেকে ডেটা বেরচ্ছে সেটা ব্যাঙ্কগুলি ধরতে পারে।”

ডেবিট কার্ড থাকলেও অনলাইন লেনদেনে ওটিপি দরকার। সেই ওটিপি প্রতারকরা পাচ্ছে কী ভাবে?

সাইবার বিশেষজ্ঞ সৌম্য দত্ত বলেন, “ফ্রড মনিটারিং সেল বা তার যে নজরদারি সেকশন রয়েছে তাদের সর্বক্ষণ তৎপর থাকতে হবে। অ্যাকাউন্ট কোনও ভাবে কনভার্ট হয়ে গেলে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।”

কিন্তু কী ভাবে রোখা যাবে এই জালিয়াতি?

পুলিশের সন্দেহ, এই জালিয়াতি চক্রের নেপথ্যে রয়েছে জামতাড়ার মতো কোনও দেশীয় গ্যাং। সেই চক্রের খোঁজ চলছে।