ওয়াশিংটন: দু’দিনে গ্রেফতার ৬ শিক্ষিকা (Teacher)। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মার্কিন শিক্ষামহলে। ধৃতদের মধ্যে বেশিরভাগের বিরুদ্ধে ছাত্রদের সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্ক (Physical Relation) করার অভিযোগ উঠেছে। রয়েছে ধর্ষণের অভিযোগও। তালিকায় রয়েছেন ৩৮ বছরের এলেন শেল। তাঁর বিরুদ্ধে ১৬ বছরের এক কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে আদালতে তোলা হয়। তিনি উডলন এলিমেন্টারি স্কুলে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা প্রথমে স্কুলে অভিযোগ জানান। তারপরই স্কুলের তরফে তা পুলিশকে জানানো হয়।
ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে আরকানসাসের শিক্ষিকা হিথার হেয়ারের (৩২) বিরুদ্ধে। তিনিও এক কিশোরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। আর এক কিশোরের সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে ওকলাহোমার শিক্ষিকা এমিলি হ্যানকোকের বিরুদ্ধে। তাঁকেও ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্কুলের মধ্যেই ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে ওয়েলস্টোন পাবলিক স্কুলের শিক্ষিকা এমা ডিলানে হ্যানককের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁরা স্ন্যাপচ্যাটে কথা বলেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। একই অভিযোগ রয়েছে আইওয়ার ডেস মইনেসের একটি ক্যাথলিক হাইস্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকা ক্রিস্টেন গ্যান্টের বিরুদ্ধে। স্কুলে ভিতরে ও স্কুলের বাইরে এক ছাত্রের সঙ্গে ৫ বারেরও বেশি সময় যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। জেমস ম্যাডিসন হাই স্কুলের শিক্ষিকা আলেহ খেরাদমান্দের (৩৩) বিরুদ্ধে বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁরই এক ছাত্রে সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালেও প্রথম তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠে বলে জানা যায়। অন্যদিকে নর্থহ্যাম্পটন এরিয়া হাই স্কুলের এক ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিটের সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্কের ঘটনা জানতে পারার পর হান্না মার্থ (২৬) নামে এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।