Air Pollution: বায়ুদূষণের জন্য প্রতি বছর চিনে ৬৪ হাজার ভ্রূণের মৃত্যু হয়: রিপোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Dec 06, 2022 | 8:53 AM

বায়ুদূষণের কারণে শিশু মৃত্যুর নিরিখে চিন চতুর্থ স্থানে। তবে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গত ১০ বছর ধরে চিনের রাজধানী শহর বেজিং বিশেষ পদক্ষেপ করছে।

Air Pollution: বায়ুদূষণের জন্য প্রতি বছর চিনে ৬৪ হাজার ভ্রূণের মৃত্যু হয়: রিপোর্ট
বায়ুদূষণ। প্রতীকি চিত্র

Follow Us

বেজিং: বর্তমান বিশ্বে উদ্বেগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বায়ুদূষণ। প্রাণহানির অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে বায়ুদূষণ। চিনে তো বায়ুদূষণ এমন মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রেহাই পাচ্ছে না গর্ভস্থ ভ্রূণও। বছরে ৬৪ হাজার ভ্রুণের মৃত্যু হয় কেবল বায়ুদূষণের কারণে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এক সমীক্ষা রিপোর্টে এমনই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বায়ুদূষণ ও তার প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা করেছে সে দেশের সংস্থা দক্ষিণ চিন মর্নিং পোস্ট (SCMP)। সেই সমীক্ষা রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, প্রতি বছর চিনে বায়ুদূষণের কারণে গর্ভের মধ্যেই মৃত্যু হয় ৬৪ হাজার শিশুর। বায়ুদূষণের কারণে শিশু মৃত্যুর নিরিখে চিন চতুর্থ স্থানে। তবে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গত ১০ বছর ধরে চিনের রাজধানী শহর বেজিং বিশেষ পদক্ষেপ করছে বলে সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লিখিত।

পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, চিন সহ ১৩৭টি দেশের বায়ুর মান তুলনামূলকভাবে ভাল হয়েছে। তবে গর্ভস্থ ভ্রূণের উপর বায়ুদূষণের প্রভাব ঠেকাতে হু-র তরফে বৈঠক করা হয়েছে। চিনা সরকারও ভ্রূণের মৃত্যু ঠেকাতে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় বিশেষ পদক্ষেপ করেছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রথম এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়। সেই বছর ইউনিসেফ এই ঘটনাকে ‘নেগলেকটেড ট্রাজেডি’ বলে উল্লেখ করেছিল। তারপর থেকেই বায়ুদূষণের জন্য ভ্রূণের মৃত্যু ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়। চিনা সরকারের প্রাণপণ প্রচেষ্টায় গত বছর পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নথিভুক্তি অনুযায়ী, বায়ুর মান কিছুটা উন্নত করা গিয়েছে এবং তার সুফল গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন SCMP-র সমীক্ষা রিপোর্টের অন্যতম কর্তা জুহু তোং।

Next Article