কিয়েভ : যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়েছিল একাধিক ভারতীয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ‘অপারেশন গঙ্গা’ উদ্ধারাভিযানের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে একাধিক ভারতীয় নাগরিককে। এখনও ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন বহু ভারতীয় নাগরিক। প্রায় ৭০০ জন ভারতীয় নাগরিক পূর্ব ইউক্রেনের সুমি শহরে আটকে পড়েছে। রবিবার সেখানে লাগাতার গোলা বর্ষণ করে রুশ সেনাবাহিনী। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা সফল হয়নি। এর সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে ভারতীয় নাগরিকরা যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ পড়ুয়া তাঁরা সবাই বাঙ্কারে এবং ক্যাম্পাসে আশ্রয় নিয়েছেন। ইউক্রেনে স্থানীয় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ভারতের জবাবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেন শনিবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছিল। এটি মারিউপোল-ভোলনোভাখাতে একটি মানবিক করিডোর নির্মাণ করে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও সম্মত হয়েছিল। কিন্তু এই পন্থা খুব একটা কাজে আসছে বলে মনে হয় না। কারণ পূর্ব ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়রা এই বাহির পথ ব্যবহার করতে পারছেন না। এর আগে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমিতে আটকে থাকা সুমি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬০০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে সীমান্তের দিকে রওনা হয়েছিলেন। ক্যাম্পাস ছাড়ার আগে এই শিক্ষার্থীরা একটি ভিডিয়ো তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। যেখানে একজন ছাত্র বলছেন, “আমরা আর অপেক্ষা করতে পারছি না। জীবন বাজি রেখে আমরা সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমাদের কিছু হলে দায়ী থাকবে ভারত সরকার ও দূতাবাস।”
এর আগে ভারতের তরফে জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশিকা জারি অবিলম্বে কিয়েভ ছাড়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এরপর সুমি থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই মূল উদ্দেশ্যয। কিয়েভে ভারতীয়দের দূতাবাস সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল এবং ইউক্রেনের অন্যান্য অংশে কোনও ভারতীয় আটকে পড়েছেন কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য একটি অভিযান শুরু করেছে। আজ কিয়েভে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে টুইটে একটি বার্তা দেওয়া হয়ে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্দেশে। টুইটে ইউক্রেনে থাকা সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের একটি গুগল ফর্মে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফিল আপ করার আবেদন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ইউক্রেন ছেড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৯,৯২০ জন ভারতে পৌঁছেছে।