ভারতে নিষিদ্ধ কচ্ছপের মাংস। কিন্তু অন্যান্য দেশে? জানেন কী আফ্রিকার জাঞ্জিবারে কচ্ছপের মাংস খাওয়ার কারণে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আবার আট জন শিশু ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক। শুধু তাই নয়, ৭৮ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংস খাওয়া নিরাপদ কি না তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। স্থানীয় জেলা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই ঘটনায় একজন মহিলা ও তাঁর সন্তান মারা গিয়েছেন।
সেখানকার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত মঙ্গলবার রোগীরা কচ্ছপের মাংস খেয়েছিলেন। ল্যাব টেস্টেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। চিকিৎসকরা রোগীদের এরপর আর কচ্ছপের মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, শারীরিক এই অসুস্থতার কারণ কচ্ছপের মাংস থেকে নির্গত হওয়া শিওনিটক্সিসিজম।
শিওনিটক্সিসিজম কী?
শাওনিটক্সিসিজম হল এক ধরনের খাদ্য বিষক্রিয়া। যা মানুষের মধ্যে ঘটে কচ্ছপ থেকে নির্গত বিষাক্ত পদার্থের কারণে। সামুদ্রিক কচ্ছপগুলি তাদের দীর্ঘ জীবনের জন্য পরিচিত। তবে তাদের উপরের শক্ত খোসার ভিতরে একটি বিশেষ ধরণের বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যায় যাকে চিওনিটক্সিন বলা হয়। কচ্ছপ ছাড়াও অন্যান্য অনেক জলজ প্রাণীর মধ্যেও এটি পাওয়া যায়। কচ্ছপরা নিজেদের রক্ষার জন্য এই বিষ ব্যবহার করে থাকে। এই বিষই এখন মানুষদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি কচ্ছপের মাংস ঠিক মতো রান্না না করা হয় তাহলে এই ধরনের বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। শুধু তাই নয়, তাদের ডিম খেলেও ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মধ্যে বিষক্রিয়ার বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে যখন এর মাংস ঠিকমতো রান্না করা হয় না বা খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অসাবধানতা থাকে।
কচ্ছপের বিষ শরীরে পৌঁছে গেলে বিশেষ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন বমি,পেট ব্যথা এবং ডায়রিয়া। শুধু তাই নয়,বাড়াবাড়ি শরীরের অঙ্গগুলি কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। এত মৃত্যুও ঘটতে পারে।