টোকিয়ো: নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবে। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইতিমধ্যেই আততায়ীকেও গ্রেফতার করেছে জাপান পুলিশ। হামলার কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও, ধৃত ওই ব্যক্তির সম্পর্কে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
জাপানের ক্যাবিনেট সচিব হিরোকাজ়ু মাতসুনো বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবের উপরে এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ গুলি চলে। নারা শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। বছর ৪০-র এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এখনও অজানা। ”
জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম তেতসুয়া ইয়ামাগামি (৪১)। ঘটনাস্থল থেকেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে একটি শটগান উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শটগান ব্যবহার করেই শিনজ়ো আবের উপরে গুলি চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জাপানের ফুজি টিভির তথ্য অনুযায়ী, তেতসুয়া ইয়ামাগামি জাপানের নারা শহরেরই বাসিন্দা। তিনি জাপানের মেরিটাইম আত্মরক্ষা বাহিনী বা জাপানের নৌসেনার সদস্য ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। সেখান থেকেই বন্দুক ব্যবহার শিখেছিলেন ইয়ামাগামি। সূত্রের খবর, যে বন্দুক ব্যবহার করে শিনজ়ো আবের উপরে হামলা চালিয়েছিলেন ইয়ামাগামি, সেটি নিজের হাতেই তৈরি করেছিলেন তিনি। জাপানের অস্ত্র আইন অত্যন্ত কঠোর হওয়ায় তাঁর পক্ষে বিনা নথিতে বন্দুক কেনা সম্ভব নয়। তবে কোথা থেকে এই অস্ত্র বানানো শিখেছিলেন ইয়ামাগামি, তা জানা যায়নি।
安倍元首相 銃撃
事件の直前にNHKの記者が撮影した映像には、容疑者とみられる人物が、演説が始まるのを待っているようすが写っていました。https://t.co/Jli9oQDP43#nhk_video pic.twitter.com/XOKQsyy3Fe— NHKニュース (@nhk_news) July 8, 2022
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, জাপানের পশ্চিমী শহর নারার একটি ট্রেন স্টেশনের বাইরে এদিন সকালে বক্তব্য রাখছিলেন শিনজ়ো আবে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শিনজ়ো আবে যখন বক্তব্য রাখতে ওঠেন, সেই সময় সভাস্থলের ঠিক পিছন দিকেই দাঁড়িয়েছিল ইয়ামাগামি। আচমকা পরপর দুটি গুলি চালায় ইয়ামাগামি, একটি গুলি শিনজ়ো আবের বুকে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা জড়িয়ে ধরেন শিনজ়োকে। বুকে চাপ দিতেও দেখা যায় তাঁদের।
অন্যদিকে, গুলি চালানোর পরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ইয়ামাগামি। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্মীরাই তাঁকে ধরে ফেলে, হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বন্দুক। ধূসর রঙের টি-শার্ট পরা ওই যুবকের গায়েও রক্ত লেগে থাকতে দেখা যায়। তাঁর কাছে একটি কালো ব্যাগও ছিল।