Ukraine: চার পায়ে হাঁটে, ঘেউ-ঘেউ করে ডাকে, কুকুরের সঙ্গে থেকে মেয়েটির এ কী অবস্থা
ukraine: মেয়েটির নাম ওকসানা মালায়া । তাঁর মদ্যপ বাবা এবং মা তাকে পারিবারিক কুকুরের সঙ্গে থাকতে বাধ্য করেছিলেন। কারণ অভিভাবকরা তাঁর যত্ন নিতে অক্ষম ছিলেন। যেহেতু তাঁরা বেশিরভাগ সময়ই মদ্যপ থাকতেন তাই তাঁরা তিন বছরের ওকসানাকে বাড়ির কুকুরের কাছে রেখে দেয়।
ইউক্রেন: মদ্যপ বাবা-মা। তাই সন্তানকে ফেলে রেখেছিল বাড়ির পোষ্য কুকুরের সঙ্গে। আর তার থেকেই শুধু অদ্ভুত আচরণ। জানা গিয়েছে, বয়স বাড়ার পরও হামাগুড়ি দিতেন মেয়েটি। কুকুরের মতো আওয়াজ করতেন। ইউক্রেনের এক বাসিন্দার এহেন আচরণে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ডেইলি স্টার নামক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের এই মেয়েটির সঙ্গে যা ঘটেছিল তা ছিল একেবারেই আলাদা। জানা গিয়েছে, মেয়েটি যখন ছোট ছিল,তাকে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে রেখে দেওয়া হয় বাড়ির কুকুরদের সঙ্গে। যার কারণে সে কুকুরের মতো হাঁটত। শুধু তাই নয়, ঘেউ ঘেউ করত। মাটিতে পড়ে থাকা জিনিসও জিভ দিয়ে তুলে খেত।
মেয়েটির নাম ওকসানা মালায়া । তাঁর মদ্যপ বাবা এবং মা তাকে পারিবারিক কুকুরের সঙ্গে থাকতে বাধ্য করেছিলেন। কারণ অভিভাবকরা তাঁর যত্ন নিতে অক্ষম ছিলেন। যেহেতু তাঁরা বেশিরভাগ সময়ই মদ্যপ থাকতেন তাই তাঁরা তিন বছরের ওকসানাকে বাড়ির কুকুরের কাছে রেখে দেয়। আর কুকুরের সঙ্গে থাকতে থাকতে ওকসানার সমস্ত অভ্যাস তাদের মতোই হয়ে গিয়েছিল। সেটা চার পায়ে হাঁটা হোক বা ঘেউ ঘেউ, খাওয়া বা ঘোরাঘুরি।
১৯৯১ সালে একদল সমাজসেবী ওকসানাকে প্রথম দেখেছিল এই ধরনের অদ্ভুত ব্যবহার করতে। আর ওকসানা যখন তাঁদের নজরে আসে সেই সময় ছ’বছর কুকুরের সঙ্গে সে বসবাস করে ফেলেছিল। তবে সমাজসেবীরাই তাঁকে উদ্ধার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনে। এখন ওকসানার বয়স ৪৩ বছর। তবে তিনি বর্তমানে একজন সাধারণ ব্যক্তির মতো জীবনযাপন করেন। ওকসানা বলেছেন, যখনই তিনি একাকী বোধ করেন, তিনি কুকুরের সঙ্গে সময় কাটান।