আফগান মহিলাদের কথা শোনা হোক, সুরক্ষা পাক সংখ্যালঘুরা, রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল ভারতের

India on Afghanistan: প্রতিবেশী আফগানিস্তান তথা সে দেশের মানুষের বন্ধু ভারত। তাই আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গঠনে বিশেষ নজর নয়া দিল্লির।

আফগান মহিলাদের কথা শোনা হোক, সুরক্ষা পাক সংখ্যালঘুরা, রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল ভারতের
ফাইল চিত্র। PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2021 | 9:12 AM

রাষ্ট্রপুঞ্জ: আফগানিস্তানের (Afghanistan) সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে কয়েকদিন আগেই। আর তার ঠিক তিন দিন পর সেই তালিবান (Taliban) সরকার গঠন নিয়ে বার্তা দিল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের বার্তা যাতে, সরকার গঠনে সবাইকে সমান অধিকার দেওয়া হয়। শুক্রবার এই বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে (United Nation) সওয়াল করে ভারত। ভারতীয় প্রতিনিধি বলেন, যাতে আফগানিস্তানের মহিলাদের অভাব-অভিযোগ শোনা হয়। সংখ্যালঘুদের যাতে অধিকার দেওয়া হয়, শিশুদের কথা যাতে ভাবা হয়, সেই বিষয়েও বার্তা দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ভারতের তরফ বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ভারতের জন্য অবশ্যই উদ্বেগের।

তিন দিন আগেই আফগানিস্তান নয়া সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেছে তালিবান। কারা সেই সরকারের মাথায় থাকবে সেই তথ্যও প্রকাশ্যে এনেছে তালিবান। শুক্রবার সেই সরকার গঠন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। যাতে সমাজের সব স্তরের মানুষ সরকার গঠনের গুরুত্ব পায়, সে দিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি। তিনি জানান, আফগানিস্তান হল ভারতের প্রতিবেশী ও আফগানিস্তানের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। তাই আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্নি ভারত।

রাষ্ট্রপুঞ্জে এই প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক তিরুমূর্তি বলেন, ‘ভারত চায় আফগানিস্তানে যাতে সব স্তরের মানুষকে গুরুত্ব দেওয়া হোক। আন্তর্জাতিক স্তরে গ্রহণযোগ্যতা পেতে গেলে আব স্তরের প্রতিনধিদের জায়গা দিতে হবে সরকারে ও রাজনীতিতে।’ বিবৃতিতে ভারতের তরফে আরও বলা হয়েছে যে, ‘যেহেতু আফগানিস্তান ভারতের প্রতিবেশী ও আফগানদের বন্ধু ভারত, তাই আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আমাদের জন্য উদ্বেগের।’ গত দু’বছরে যে সব নির্মাণ গড়ে তোলা হয়েছে সেগুলি যাতে রক্ষা করা যায়, সে দিকে নজর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ভারতের বার্তা, ‘আফগান মহিলাদের কথা শুনতে হবে, আফগান শিশুদের নিয়ে চিন্তা করতে হবে, সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে।’

এ দিকে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের মোট খরচের একটি বড় অংশই আসত বিদেশি সাহায্য থেকে। তবে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তালিবান আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পরই সেই অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে প্রায় সমস্ত দেশই। তালিবান বাহিনী আফগানিস্তান দখলের পরই আমেরিকা ও আরও সাতটি দেশ যৌয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আফগানিস্তানের অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেয়। আফগানিস্তান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদও পড়ে রয়েছে বিভিন্ন দেশে। তাই এই অবস্থায় সরকার গঠন হলেও আফগানিস্তান কী ভাবে চলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জ সতর্ক করে জানাল, দ্রুত টাকা জোগাড় করতে না পারলে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়বে আফগানিস্তান।

আরও পড়ুন: ‘পচুক ওর দেহটা’, আমরুল্লাহর ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বাইরেই ফেলে রাখল তালিবরা