কাবুল: আফগানিস্তানের পশ্চিমাংশ ভয়াবহ ভূমিকম্প। শনিবার বেলায় হওয়া এই ভূমিকম্পে অন্তত ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি। রিখটার স্কেলের এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩। ভূমিকম্পের জেরে যেমন সেখানকার অনেক বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। তেমনই কিছু এলাকায় ভূমিধসেরও খবর মিলেছে। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফিগানিস্তানের ওই এলাকার সবথেকে বড় শহর হেরাট থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভূমিকম্প অনুভূত হতেই ওই সব এলাকার বাসিন্দারা বাড়ি-দোকান ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তাঁদের চোখেমুখে তখন ছিল আতঙ্কের ছাপ। মূল ভূমিকম্পের পর রিখটার স্কেলে ৫.৫, ৪.৭, ৬.৩, ৫.৯ এবং ৪.৬ তীব্রতার পাঁচটি আফটার শক অনুভূত হয়েছে বলে মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে।
হেরাটের বাসিন্দা ৪৫ বছরের বসির আহমেদ সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, “আমরা অফিসে ছিলাম। হঠাৎ বিল্ডিং কাঁপতে শুরু করল। কিছু দেওয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ল, দেওয়ালে ফাটলও দেখা গেল। আমরা বেরিয়ে চলে এসেছিলাম। চোখের সামনে কয়েকটি বিল্ডিং ভেঙে পড়তেও দেখালাম।” ওই ঘটনার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে নিজের উদ্বেগ সংবাদমাধ্যমের কাছে গোপন করেননি বসির। ভূমিকম্পের পর ভয়ও চেপে ধরেছে তাঁর মনে।
ঘটনার পরই আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার কাজ শুরু করে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের মুখপাত্র মুল্লা জান সৈয়দ এএফপি-কে বলেছেন, “প্রাথমিক উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। শহরাঞ্চলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় ধস নেমেছে। আমাদের কাছেও এখনও সমস্ত তথ্য নেই। খুব শীঘ্রই বিস্তারিত জানানো হবে।”
গত বছর জুন মাসে আফগানিস্তানে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার জনের মৃত্যু হয়েছিল। প্রায় ১০ হাজার গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন। সেই ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ছিল ৫.৯। এ বছর মার্স মাসে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় ৬.৫ তীব্রতার ভূমিকম্পে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে হেরাটের কাছে হওয়া ভূমিকম্পে মৃত এবং আহতের সংখ্য বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।