তালিবদের কাছে আত্মসমর্পণের আগেই যেন তাঁকে গুলি করে মারা হয়, পঞ্জশীরে দাঁড়িয়ে নিজের দেহরক্ষীকে নির্দেশ সালেহর

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Sep 05, 2021 | 12:53 PM

Amrullah Saleh : আমি যদি জখম হয়ে যাই, তাহলে আমার একটিই অনুরোধ... আমার মাথায় দু'বার গুলি করবে। আমি তালিবানদের কাছে মাথা নোয়াব না। কখনও না। পঞ্জশীরে দেহরক্ষীদের নির্দেশ আমরুল্লাহ সালেহর।

তালিবদের কাছে আত্মসমর্পণের আগেই যেন তাঁকে গুলি করে মারা হয়, পঞ্জশীরে দাঁড়িয়ে নিজের দেহরক্ষীকে নির্দেশ সালেহর
ফাইল চিত্র

Follow Us

কাবুল : আশরাফ গনি আফগানিস্তান থেকে পালানোর পর দেশকে তালিবানের থেকে রক্ষা করার ‘গুরু দায়িত্ব’ নিয়েছেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ। পঞ্জশীরে তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাহিনীর লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনিই। লড়াই সহজ নয়। প্রতি মুহূর্তে নতুন চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তালিবদের কাছে মাথা নোয়াতে রাজি নন সালেহ। তাঁর দেহরক্ষীদের নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন, যদি তিনি জখম হন, তাহলে তালিবরা তাঁকে ধরে ফেলার আগে যেন দেহরক্ষীরা তাঁর মাথায় গুলি করে। একবার নয়, দু’বার… যাতে মৃত্যু নিশ্চিত হয়।

তালিবদের হাত থেকে পঞ্জশীরকে আগলে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিরোধ বাহিনীর যোদ্ধারা। কিন্তু বিগত দিনগুলিতে কাবুলের প্রশানসিক কর্তাদের সেভাবে কিছুই করতে দেখা যায়নি। প্রায় বিনাযুদ্ধে কাবুল জয় করেছে তালিবরা। ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি। তালিবান যখন কাবুলের দিকে এগোচ্ছে, তখন অন্যান্য সরকারি আমলারাও প্রতিরোধ গড়ে তোলার বদলে ভয়ে যে যেখানে পেরেছেন, লুকিয়েছেন।

একদিকে যখন তালিবান কাবুল জয়ের বিজয়োল্লাস করছে, তখন শেষ ভরসা পঞ্জশীরকে আগলে রাখার জন্য ‘জান কবুল’ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ। তবে আশরাফ গনির এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াটা মোটেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। যে রাজনীতিকরা দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পালিয়ে যান, তাঁরা দেশের মাটির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন।

শুধু আশরাফ গনিই নন, আফগানিস্তানের এই কঠিন সময়ে বাকি সরকারি আমলাদের ভূমিকাতেও বেশ অসন্তুষ্ট তিনি। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান মহম্মদি, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁদের রাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন সালেহ। এমনকী ১৫ অগাস্ট, যেদিন তালিবান কাবুল দখল করল, সেদিন সকাল পর্যন্তও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। কিন্তু কারও থেকেই উত্তর পাননি।

আমরুল্লাহ সালেহ জানিয়েছেন, আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা একসঙ্গে লড়াই চালাব। কিন্তু আমি যদি জখম হয়ে যাই, তাহলে আমার একটিই অনুরোধ… আমার মাথায় দু’বার গুলি করবে। আমি তালিবানদের কাছে মাথা নোয়াব না। কখনও না।

এদিকে আজ সকাল থেকে আবারও পঞ্জশীরে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে তালিবানের সঙ্গে। আর সেই লড়াইতে অন্তত ৬০০ তালিবানের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও প্রতিরোধ বাহিনীর মুখপাত্র ফাহিম টু্‌ইট করে জানিয়েছেন, অন্তত এক হাজার তালিবানকে ধরে ফেলেছেন তাঁরা। কার্যত তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি প্রতিরোধ বাহিনীর মুখপাত্রর। যদিও তালিবানের দাবি, তারা পঞ্জশীর ইতিমধ্যেই দখল করে নিয়েছে। সরকারিভাবে তালিবানের তরফে কোনও বক্তব্য সে ভাবে না এলেও শনিবার শেষবেলায় তালিবান দাবি করেছে, যে তারা পঞ্জশিরের গর্ভনরের অফিসে ঢুকে পড়েছে। সূত্রের খবর পঞ্জশীর প্রদেশের রাজধানী বাজারাকে প্রবেশ করেছে তালিবান। আরও পড়ুন : ‘এভাবে গুলি নষ্ট করা চলবে না’, বন্ধ বিজয় জৌলুস, সরকার গঠনের আগেই হিসেবি তালিবান!

Next Article