নিয়ামে: এমন পরিণতি ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না! স্কুলে পড়াশোনা করতে এসেছিল একদল খুদে পড়ুয়া। সেই স্কুলঘরেই ঝলসে প্রাণ গেল ২৬ জনের। প্রতিটি শিশুরই বয়স ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, খড়-বিচুলি দিয়ে তৈরি করা ছিল সেই ক্লাস ঘর। সোমবার সেখানেই কোনও ভাবে আগুন লেগে যায়। তখন স্কুল ঘরের ভিতরে ছিল কচিকাচার দল। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে যায় ২৬টি তরতাজা ফুলের মতো প্রাণ। মারাদি শহরের মেয়র চাইবো আবুবাকার জানান, “এখনও অবধি আমরা ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলির তালিকায় নাম রয়েছে নাইজারের। আর্থিক ভাবে সে দেশ এতটাই দুর্বল বাচ্চাদের জন্য স্কুল তৈরি করার সামর্থ্যও তাদের নেই। হাতে গোনা কয়েকটা স্কুল রয়েছে। স্কুল ঘর পাকা করার কথা তো ভাবতেই পারে না তারা। তবু শিক্ষার আলো থেকে দেশ যাতে কোনও ভাবেই পুরোপুরি বঞ্চিত না হয়, সে কারণে খড়, কাঠ, বিচুলি দিয়ে স্কুল ঘর তৈরি করে সেখানে বাচ্চাদের পড়ানো হয়। মাটিতেই বসে পাঠ নেয় ছোট্ট ছেলে মেয়েরা।
ফলে প্রায়শই এই স্কুলগুলিতে আগুন লেগে যাওয়ার খবর সামনে আসে। কিন্তু আগুন লাগলেও এ ভাবে সারি সারি বাচ্চা যে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে, এমন কথা ভাবতেও পারেনি কেউ। মঙ্গলবারই মারাডিতে তিনদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে। ২০ জন শিশু পুড়ে যায়। দেশের সরকার তাদের শোকপ্রস্তাবে জানিয়েছে, ‘ভয়ঙ্কর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। নাইজারের মানুষ কাঁদছে। এবার দেশ থেকে খড়-কাঠের ক্লাসরুম নিষিদ্ধ করতে হবে।’ যদিও নাইজারের শিক্ষক সংগঠনের দাবি, নিয়ামেয় আগুন লাগার ঘটনার পরই সতর্ক করা হয়েছিল স্কুলগুলিকে।
আরও পড়ুন: Hospital Fire: হঠাৎই হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক আইসিইউয়ে ভয়াবহ আগুন, মৃত্যু চার শিশুর