করাচি: দিন যত যাচ্ছে, বিভিন্ন ঘটনায় মানুষের নৃশংসতা ততই প্রকট হচ্ছে। পাকিস্তানের করাচিতে এমন এক গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে, যা শুনলে রীতিমতো শিউরে উঠবেন অনেকে। করাচির গুলশন-ই-ইকবাল এলাকায় ৬ সন্তানের মা এক মহিলাকে হত্যা করে তাঁকে কড়াইতে সেদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। আইএএনএস সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। কড়াইতে ফুটন্ত অবস্থায় নার্গিস নামের ৩২ বছর বয়সী ওই মহিলার মৃত স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের রান্নাঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত মহিলার ১৫ বছর বয়সী কন্যার থেকে ফোন পেয়ে মোবিনা টাউন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিল।
এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য জানাতে গিয়ে পূর্ব জেলার এএসপি আব্দুর রহিম সেরাজি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মহিলার স্বামী, আশিক, বাজাউর এজেন্সির বাসিন্দা। সে ওই বেসরকারি স্কুলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত। স্কুলে কর্মীদের জন্য তৈরি হওয়া কোয়াটারে পরিবার নিয়ে থাকত আশিক। স্কুলটি ৮-৯ মাস ধরে বন্ধ। আশিক ও নার্গিসের সব মিলিয়ে মোট ৬ সন্তান রয়েছে। এই মারাত্মক ঘটনা ঘটিয়ে ৩ সন্তানকে নিয়ে আশিক ইতিমধ্যেই পালিয়ে গিয়েছে। বাকি ৩ সন্তান পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। অভিযুক্ত আশিকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এসএসপি সেরাজি জানিয়েছেন, এই গোটা ঘটনায় বাকি ৩ জন শিশু মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছে, তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হবে। এএসপি জানিয়েছে, শিশুদের বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আশিক প্রথমে শ্বাসরোধ করে নার্গিস নামের ওই মহিলাকে হত্যা করে, তারপর কড়াইতে তাঁকে সেদ্ধ করা হয়। মৃত মহিলার একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে খুনের আসল কারণ এখন জানা যায়নি, তবে মনে করা হচ্ছে অভিযুক্ত ব্যক্তি স্ত্রীকে অবৈধ সম্পর্ক তৈরিতে বাধ্য করেছিল। স্ত্রী স্বামীর কথা মেনে চলতে অস্বীকার করায় তাঁকে খুন করা হয়েছে।