কলকাতা: চ্যাট জিপিটি থেকে গুগল বার্ড, একাধিক এআই টুলের দৌরাত্ম্য এখন যে কোনও বিষয়ের খোঁজ, পড়াশোনা, ব্যবসা, সব কাজেই সাহায্য করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এরইমধ্যে এই চাকরির বাজারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। কেউ বলছেন, যেভাবে এআই এর দৌরাত্ম্য বাড়ছে তাতে আগামীদিনে বহু মানুষের চাকরি যেতে পারে! এর পক্ষে-বিপক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সার্ভে রিপোর্ট, বিভিন্ন মত উঠে আসতে শুরু করেছে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আশ্বাস মিলছে এখনই চাকরি খোয়ানোর কোনও আশঙ্কা নেই। কিন্তু, অদূর ভবিষ্যতে কী হবে? উত্তর নেই কারও কাছে। কিন্তু, তাই বলে কোনও সংস্থার শীর্ষপদে যদি কোনও AI রোবটকে বসানো হয়? শুনতে অবাক লাগলেও এমনটা হয়েছে পোল্যান্ডে।
পোলান্ডের বিখ্যাত এক বহুজাতীয় এক পানীয় সংস্থা ঠিক করে এখন থেকে চাকরি দেওয়া বা নেওয়ার বিষয়টা থাকবে এআই-র হাতে। সোজা কথায় সংস্থার সম্পূর্ণ লাগাম তুলে দেওয়া হয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্সের হাতে। সংস্থাটির CEO পোস্টে বসেছে মিকা নামের একটি AI রোবট। অর্থাৎ, সংস্থার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে এই রোবট। সূত্রের খবর, ওই বহুজাতীক পানীয় সংস্থার ম্যানেজমেন্টের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এখন থেকে লাভ-ক্ষতি, মার্কেটিং কৌশল, বিজনেস স্ট্র্যাটেজি সহ যাবতীয় বিষয় দেখবে এই এআই।
মিকাই সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে কোন পথে এগোলে আরও বেশি বিপণন করতে পারবে সংস্থাটি, কোথায় লগ্নি করলে মিলবে সুবিধা। শুধু তাই নয়, অফিসের ভিতরেও নাক গলাবে এই মিকা। অর্থাৎ কোনও ডিপার্টমেন্টের কাজ ভাল হচ্ছে, কাদের কাজ খারাপ হচ্ছে সবদিকে নজর থাকবে এই রোবটের। পদন্নোতি থেকে বরাখাস্ত সবই থাকবে মিকার হাতে।
কোন কর্মীকে কোথায় প্রয়োজন, কার কাজের পরিধি কী হবে সবই বলবে মিকা। এখানেই শেষ নয়। প্রত্যেক কর্মীর পারফরমেন্স যাচাই করবে এআই রোবট। প্রত্যেক কর্মীর প্রমোশন-ইনক্রিমেন্ট সবই থাকবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থাকা রোবটের হাতে। সংস্থার এই সিদ্ধান্ত নিয়েই এখন জোর শোরগোল গোটা বিশ্বে।