বিতর্ক যেন কিছুতেই তাঁর পিছু ছাড়ে না। সম্প্রতি পুনরায় বিপুল ভোটে জিতে মার্কিন মুলুকের মসনদে বসেছেন তিনি। তবে তিনি সাদা বাড়িতে থাকুন আর নাই থাকুন বিতর্ক তাঁর নিত্য দিনের সঙ্গী। সম্প্রতি নেট মাধ্যমে আবার একটি ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে। ভাইরাল সেই ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে এক পাকিস্তানি মহিলা নিজেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা বলে দাবি করেছেন।
যদিও এই ভিডিয়োটি পুরনো। সেই পুরনো ভিডিয়ো নতুন করে ভাইরাল নেট মাধ্যমে। সিয়াসাত দ্বারা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এই ভিডিয়োটি প্রথম প্রকাশ্যে আসলেও, সেই সময় খুব একটা চর্চা হয়নি এই ভিডিয়ো নিয়ে। তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক জয়ের পরেই, অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুনরায় ভিডিয়োটি পোস্ট করতে শুরু করেছে, যা নতুন করে মানুষের আগ্রহ এবং কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে।
এক্স অ্যাকাউন্ট, ‘ঘর কে কলেশ’ থেকে পুনরায় পোস্ট করা এই ভিডিয়োটিতে প্রায় ৫.৫ লক্ষ ভিউ এসেছে।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একজন পাকিস্তানি মহিলা যিনি উর্দুতে কথা বলছেন। তিনি নিজেকে একজন মুসলিম এবং পঞ্জাবি হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। মহিলার দাবি নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প তার ‘বায়োলজিক্যাল ফাদার’ বা জন্মদাতা পিতা। তিনি বলেন ট্রাম্প তাঁর মাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অপমান করেন এমনকি তাঁর মা সন্তানের সঠিকভাবে যত্ন নিতে অক্ষম বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন।
এমনিতে ট্রাম্পের দুই কন্যা। ইভিংকা ট্রাম্প এবং টিফিনি ট্রাম্প। নিজের কন্যাকে নিয়ে ‘যৌন মন্তব্য’ করে এর আগে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডাকসাইটে সুন্দরী কন্যা ইভিংকাকে ‘চুমু’ খেতে চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। এবার আবার ‘কন্যা’ বিতর্কেই নতুন করে তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে নেট মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়া নতুন করে এই ভিডিয়ো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। নেটিজেনরা কেউ কেউ এই ভিডিয়োটিকে ব্যঙ্ বলে মনে করেছেন। কেউ আবার বলছেন এই ভিডিয়ো উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে। কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিয়োকে আর পাঁচটা ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো হিসাবেই ধরে নিয়েছেন।
একজন নেটিজেন এই ভিডিয়োতে মন্তব্য করেছেন, “কেবল পাকিস্তানেই আপনি এমন কাউকে পাবেন যে ট্রাম্পকে এত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর বাবা হিসাবে দাবি করবে!” অন্য একজন নেটিজেন বলেছেন, “আমি অনেকদিন এই ভাবে হাসিনি। আপনাকে অভিনন্দন!” আরেকজন নেট ব্যবহারকারীর মন্তব্য, “২০১৮ সালে যে ভিডিয়োটি উপেক্ষা করা হয়েছিল তাই অদ্ভুত, বর্তমানে কৌতুকরসে পরিণত হয়েছে।”