ওয়াশিংটন ও নয়া দিল্লি: যে করোনা রোগীদের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর, তাঁদের চিকিৎসার জন্য ভাল কাজে দিতে পারে অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট। হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভরতি থাকার সম্ভাবনাও একবারে প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে দিতে পারে অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট ফ্লুভোক্সামাইন। এক গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষকরা বলেছেন যে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাঁরা গুরুতর অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বা যাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে কম খরচে ঝুঁকি অনেকটা কমাতে সাহায্য করতে পারে এই ওষুধ। বিশেষ করে দেশে যখন এখনও একটি অংশের মানুষ করোনার টিকা পাননি, সেক্ষেত্রে এই ওষুধ বিশেষ ভাবে কার্যকর হতে পারে বলে অনুমান করছেন গবেষকরা।
ফ্লুভোক্সামিন সাধারণত মানসিক স্বাস্থ্য যেমন বিষন্নতা এবং অবসেসিভ-কমপালসিভ ব্যাধিগুলির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটির মধ্য়ে প্রদাহ-রোধকারী একটি বিশেষ গুণ রয়েছে, এল তর উপর ভিত্তি করেই এই পরীক্ষা করা হয়।
সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট পাবলিক হেলথ জার্নালে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার গবেষকরা ব্রাজিলের প্রায় ১৫০০ কোভিড -১৯ আক্রান্ত রোগীর মধ্যে এই পরীক্ষা করেছিলেন। ফ্লুভোক্সামিন গ্রহণকারী ৭৪১ জনের মধ্যে ৭৯ জন, অর্থাৎ মাত্র ১০ শতাংশের কিছু বেশি রোগীকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। প্লাসিবো প্রাপ্ত ৭৫৬ জনের মধ্যে ১১৯ (১৫.৭ শতাংশ) ওষুধ নেওয়ার পরেও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
এদিকে নতুন করে আরও ৩৫ লক্ষ ফাইজারের ডোজ বাংলাদেশকে পাঠিয়েছে আমেরিকা। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশকে মোট ১ কোটি ৫০ লক্ষ ডোজ় টিকা দিয়েছে আমেরিকা। আর এই ভ্যাকসিন পাওয়ার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে।
বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই তথ্য দেওয়া হয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিট্রেশন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োটেক করোনা টিকা অনুমোদন করেছে। মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের পর মার্কিন অনুদান দেওয়া টিকাগুলি বাংলাদেশ সরকারকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী বাংলাদেশিদের দেওয়া হবে।
এদিকে করোনা আবার নতুন করে চোখ রাঙানি শুরু করেছে চিনে। ২০১৯ সালের শেষভাগে প্রথম করোনা ভাইরাসের খোঁজ মেলার পরই যেমন একের পর এক শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছিল, চলতি মাসের শুরু থেকেই ফের চিনের একাধিক প্রদেশে ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার নতুন করে ২৯ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে চিনে। এরমধ্যে গানসু প্রদেশের রাজধানী লানজ়োউ শহরেই ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।নতুন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই গোটা শহরে লকডাউন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিল স্থানীয় প্রশাসন।