COVID-19 in China: ৬ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই গৃহবন্দি ৪০ লক্ষ বাসিন্দা! করোনা রুখতে ‘অতি তৎপর’ চিনা প্রশাসন
Lockdown in China: বেজিংয়েও মঙ্গলবার নতুন করে তিনজন আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে প্রবেশ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজ ছাড়া শহর ছাড়তে বারণ করা হয়েছে।
বেজিং: উৎসস্থলেই বারবার ফিরে আসছে করোনা(COVID-19)। চিন(China)-র একাধিক প্রদেশে করোনা সংক্রমণের দাপট বাড়তেই আরও একটি শহরে লকডাউন (Lockdown) ঘোষণা করা হল। প্রায় ৪০ লক্ষ বাসিন্দার লানজ়োউ (Lanzhou) শহরে মঙ্গলবার থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হল। অত্যন্ত জরুরি কোনও কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে সমস্ত বাসিন্দাদের।
২০১৯ সালের শেষভাগে প্রথম করোনা ভাইরাসের খোঁজ মেলার পরই যেমন একের পর এক শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছিল, চলতি মাসের শুরু থেকেই ফের চিনের একাধিক প্রদেশে ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার নতুন করে ২৯ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে চিনে। এরমধ্যে গানসু প্রদেশের রাজধানী লানজ়োউ শহরেই ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।নতুন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই গোটা শহরে লকডাউন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিল স্থানীয় প্রশাসন।
প্রশাসনের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, শহরের সমস্ত বাসিন্দাই যেন ঘরে থাকেন। অত্যন্ত জরুরি কোনও প্রয়োজন না থাকলে, কেউ যেন বাড়ি থেকে না বের হন। ঘরে ঢোকা-বেরনোর উপর কড়া নজর রাখা হবে প্রশাসনের তরফে। কেবলমাত্র চিকিৎসা ও অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী আনার জন্যই সীমিত সময়ের জন্য বেরতে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার এই পুনঃসংক্রমণ ডেস্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই হচ্ছে। ১৭ অক্টোবর থেকে এখনও অবধি নতুন করে ১৯৮ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগামিদিনে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে কারণ ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে করোনা পরীক্ষার হার বাড়ানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে একদল স্থানীয় পর্যটকের মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। উত্তর চিনেও প্রায় ১০ হাজার মানুষকে গৃহবন্দি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেজিংয়েও মঙ্গলবার নতুন করে তিনজন আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে প্রবেশ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজ ছাড়া শহর ছাড়তে বারণ করা হয়েছে। একাধিক আবাসনে লকডাউন জারি করা হয়েছে। রবিবার ৩০ হাজার প্রতিযোগী নিয়ে যে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল, তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
শীতের দোরগোড়ায় বাকি দেশগুলিতেও সংক্রমণ বাড়লেও চিনে কঠোর বিধি অনুসরণ করে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সই কারণে অল্প সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলেও শহরজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর মাত্র ১০০ দিন পরই শীতকালীন অলিম্পিকস প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা রয়েছে, তার আগেই সংক্রমণকে সম্পূর্ণরূপে বাগে আনতে চাইছে চিনা প্রশাসন।
এদিকে, সোমবারই চিনের ইনার মঙ্গোলিয়ার এজিনে লকডাউন জারি হয়েছে। ওই এলাকার ৩৫ হাজার ৭০০ বাসিন্দাকে বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই অঞ্চলেই সংক্রমণের হটস্পট। গত সপ্তাহে ওই এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৫০ জন। লকডাউন ঘোষণার একদিনের মধ্য়েই দলের সচিব এজিন ব্যানারকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সংক্রমণ প্রতিরোধে খারাপ পারফর্মেন্সের জন্য।
বেজিং সহ ১১টি প্রদেশে গণ করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি জায়গায় আন্তঃরাজ্য বা প্রদেশের মধ্যে চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।