Russian Couple Controversy: নগ্ন ফটোশ্যুট গাছের নিচে, নির্বাসিত রাশিয়ান দম্পতি

Russian Couple: আলিনার স্বামী আন্দ্রে ফজলিভা ছবিটি তুলে দিয়েছিলেন। ইনস্ট্রাগ্রামে ছবিটি আপলোড হওয়ার সঙ্গেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। বালির আদি বাসিন্দা এক সম্প্রদায়ের কাছে আলিনার এই ফটোশ্যুট অপমানজনক বলেই মনে হয়েছে।

Russian Couple Controversy: নগ্ন ফটোশ্যুট গাছের নিচে, নির্বাসিত রাশিয়ান দম্পতি
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 6:30 PM

ডেনপাসার: মাঝে মাঝে নিজের অজান্তেই আমরা এমন অনেক কাজ করে ফেলি, যা জীবনে বিড়ম্বনা তৈরি। অজান্তে করা কাজের এমন মাশুল দিতে হয়, যাঁর জন্য সারাজীবন আফসোস করতে হয়। রাশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর ও তাঁর স্বামীকেই ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। নির্বাসনের কারণ জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। ওই রাশিয়ান যুগল ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা একটি পবিত্র গাছের নিচে নগ্ন হয়ে ফটোশ্যুট করেছিলেন। সেই কারণেই তাদের নির্বাসিত করা হয়েছে। স্থানীয় সাংস্কৃতিক নিয়মকানন লঙ্ঘনের কারণে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ইন্দোনেশিয়াতে অবাক করার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে। আলিনা ফজলিভা নামে রাশিয়ান ওই ইনফ্লুয়েন্সারের ইনস্টাগ্রামে প্রচুর ফলোয়ার রয়েছে। বালিতে তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে ৭০০ বছর পুরোনো একটি বটগাছের নিচে দাঁড়িয়ে নগ্ন হয়ে তিনি ছবি তোলেন।

আলিনার স্বামী আন্দ্রে ফজলিভা ছবিটি তুলে দিয়েছিলেন। ইনস্ট্রাগ্রামে ছবিটি আপলোড হওয়ার সঙ্গেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। বালির আদি বাসিন্দা এক সম্প্রদায়ের কাছে আলিনার এই ফটোশ্যুট অপমানজনক বলেই মনে হয়েছে। বালির হিন্দু সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি অনুযায়ী পাহাড়, গাছ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানকে পবিত্র হিসেবে মানা হয়। “ওই দু’জনই স্থানীয় নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এবং এর ফলে জনগণের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে।” বালির প্রধান অভিবাসন আধিকারিক জামরুলী মানিহুরুক শুক্রবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, এই কারণে তাদের নির্বাসিত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুই দম্পতিকে ইন্দোনেশিয়াতে ৬ মাস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আলিনা ফজলিভা নিজের এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে ক্ষমা চেয়েছেন এবং তিনি জানিয়েছেন, অজান্তেই ‘বড় ভুল’ করে ফেলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওখানে কোনও বোর্ড ছিল না, তাই পবিত্র স্থানের বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। এই ধরনের পবিত্র জায়গার প্রতি যথার্থ সম্মান দেখান উচিৎ বলেই মনে করেন তিনি।