Bangladesh: বিকেল না হতেই মৃত ৩২! জ্বলছে বাংলাদেশ, ফের বন্ধ ইন্টারনেট, জারি কার্ফু

Aug 04, 2024 | 5:33 PM

Bangladesh violence: রবিবার (৪ অগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে অসহযোগ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছে তারা। আর এই কর্মসূচির প্রথমদিনই, ফের রক্তাক্ত বাংলাদেশে। এদিন সন্ধ্যা থেকেই জারি করা হল কার্ফু।

Bangladesh: বিকেল না হতেই মৃত ৩২! জ্বলছে বাংলাদেশ, ফের বন্ধ ইন্টারনেট, জারি কার্ফু
বাংলাদেশে জ্বলছে আগুন
Image Credit source: Twitter

Follow Us

ঢাকা: রবিবার (৪ অগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে অসহযোগ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছে তারা। আর এই কর্মসূচির প্রথমদিনই, ফের রক্তাক্ত বাংলাদেশে। কোথাও পুলিশের সঙ্গে আবার কোথাও ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ ও যুব লিগের সশস্ত্র সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৩টি জেলা জুড়ে মোট ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে, সেই দেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো। ফেণীতে ৫ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, মাগুরায় ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৩ জন, পাবনায় ২ জন, সিলেটে ২, কুমিল্লায় ১ জন, জয়পুরহাটে ১ জন, বরিশালে ১ জন এবং রাজধানী ঢাকায় আরও ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

ফেনীতে এদিন সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা অসহযোগের সমর্থনে বিক্ষোভ করছিলেন। দুপুর দুটো নাগাদ মহিপাল সেতুর নীচে ছাত্রলিগ, যুবলিগ ও আওয়ামি লিগের কর্মীরা মিছিল করা শুরু করেন। তাতেই দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। মুহুর্মুহু গুলি চলে, মলোটভ ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এই সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আরও অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে সংবাদমাধ্যমের তিন কর্মীও আছেন। রংপুরেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়। মাগুরায় পুলিশ ও আওয়ামি লিগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে, জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান-সহ দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের দুজনের শরীরেই গুলি লেগেছিল।

ঢাকার উত্তরাতেও পুলিশ ও আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। এই সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল তিনটে পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫৬ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা -সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এখনও দুই পক্ষের মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছে।

এদিকে, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত, ঢাকা-সহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর এবং উপজেলা সদরে কারফিউ জারি করেছে সরকার। রবিবার, বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, গ্রামীণ এলাকা বাদে প্রায় সারা দেশেই কারফিউ বলবৎ থাকবে। এর মধ্যে আরও একবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ আলি আরাফাত। তিনি বলেছেন, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘সন্ত্রাসবাদী’দের দমনে জনগণের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে সরকার। তবে, সরকার বিরোধী এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষও।

একইসঙ্গে রবিবার দুপুর ১২টা থেকে গোটা বাংলাদেশে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফোর-জি মোবাইল পরিষেবা। টু-জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শুধুমাত্র কথা বলা যাবে, ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না। সেই সঙ্গে বেলা ১টার পর থেকে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামও বন্ধর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখনও সচল রাখা হয়েছে।

Next Article