ঢাকা: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ঝরছে রক্ত। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের প্রতি সুবিচার চেয়ে ফের পথে নেমেছে আন্দোলনকারীরা। দাবি উঠেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের। আজ, রবিবার থেকে বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়েছে অসহযোগ আন্দোলন। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের খবর মিলছে। এখনও পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত আরও অনেক। এদিকে, সরকারের তরফে ফের একবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই চট্টগ্রাম, রংপুর, ঢাকা, সিলেট সহ একাধিক জায়গায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের খবর মিলেছে। রংপুরে আওয়ামি লিগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্য়ু হয়েছে, আহত ১০ জন। মুন্সিগঞ্জে ২ জন, মাগুরাতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দুপুর থেকে ব্রাহ্মণবেড়িয়ার ঢাকা-সিলেট জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। ঢাকা-ময়মনসিংহ জাতীয় সড়ক এবং জামালপুরেও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। কারওয়ান বাজার এলাকায় বিক্ষোভকারীরা গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ।
পাবনায় আবার আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য় করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেই খবর। সিলেটে সংঘর্ষ হচ্ছে দফায় দফায়। এদিকে, সরকারের তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রংপুরে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ও পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।