Sheikh Hasina: শুধু হাসিনাই নয়, এবার শেখ রেহানারও পাইপয়সার হিসেব নিতে বড় সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের
Sheikh Hasina: জুলাইয়ের শুরু থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন তিনি। ওইদিনই বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ছাড়েন হাসিনা। তাঁর পদত্যাগের তিনদিন পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এরপর হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হয়।
ঢাকা: মাস চারেক আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়েছেন তিনি। তার পর তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যা-সহ অনেক মামলা হয়েছে। এবার শেখ হাসিনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে চাইছে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU)। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ। শুধু শেখ হাসিনা নয়, তাঁর বোন শেখ রেহানার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
জুলাইয়ের শুরু থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন তিনি। ওইদিনই বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ছাড়েন হাসিনা। তাঁর পদত্যাগের তিনদিন পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এরপর হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হয়। বাংলাদেশে হাসিনার ফেরার রাস্তা বন্ধ করতেই এইসব মামলা করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন ওঠে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন আসলে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। মহম্মদ ইউনূসকে এর মাস্টারমাইন্ড বলে বর্ণনা করেন।
বর্তমানে ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা চলছে। সেইসময় হাসিনা ও রেহানার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে উঠে পড়ে লাগল বিএফআইইউ। তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের হিসাব চাওয়া হয়েছে। ওই ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। আর তাঁর বোন শেখ রেহানা ট্রাস্টের অন্যতম ট্রাস্টি। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা কোনও ধরনের আর্থিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, কিংবা কারা ট্রাস্টে টাকা দিয়েছেন এবং এই ট্রাস্টের টাকা কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের হিসাব তলব করা হয়েছে। বিএফআইইউর নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য বা নথি (অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম), কেওয়াইসি ও লেনদেনের বিবরণ পাঁচদিনের (ব্যাঙ্কের ৫টি কর্মদিবস) মধ্যে জমা দিতে হবে।
এই খবরটিও পড়ুন
একইসঙ্গে চৌধুরী জাফরুল্লাহ সরাফাত, তাঁর ভাই চৌধুরী হাবিবুল্লাহ সরাফাত ও ডালিয়া চৌধুরীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এর আগে জাফরুল্লাহ ও হাবিবুল্লাহ চৌধুরীর ভাই ও পদ্মা ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়।