বাংলাদেশ: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রতিবাদের মুখর সে দেশের সংখ্যালঘুরা। এরই মধ্যে বাংলাদেশে ইসকন (ISKON)-এর শাখা নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করল বাংলাদেশ। ইসকন সংক্রান্ত সব তথ্য খতিয়ে দেখে ইউনূস সরকার সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। ইসকন বাংলাদেশ-বিরোধী কাজ করে বলে দাবি করা হয়েছে। আদালতেও সে কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন চিন্ময় দাস। গত সোমবার তাঁকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে তোলার পর জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গাড়িতে তোলার সময় চোখে পড়ে হাজার হাজার অনুগামীর ভিড়। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার রাতভর সেই প্রতিবাদ চরম আকার নেয়।
সেই সংঘর্ষের মাঝেই এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়। আর সেই ঘটনা আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভ মিছিলে ধরপাকড়ও চলছে রীতিমতো। বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেককেই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এবার বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ইসকন-এর রেজিস্ট্রেশন আছে কি না, সংস্থা বৈধ কি না, সব খতিয়ে দেখছে সরকার। সেই অনুসারে প্রক্রিয়া এগোবে।
ত অক্টোবরে চট্টগ্রামে যে মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল, তার নেতৃত্বও দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। দেশদ্রোহিতার অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।