ওয়াশিংটন: ১৬ বছরের শাসন। রাতারাতি গদি উলটেছে হাসিনা সরকারের। গণ আন্দোলনের মুখে পড়ে পতন হয়েছে আওয়ামি লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে এই গণ অভ্যুত্থানের পিছনের মস্তিষ্ক কারা ছিল, তা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দিতে নিউইয়র্কে গিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। সেখানেই ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়েই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস পরিচয় করে দিলেন সে দেশের ছাত্রনেতাদের সঙ্গে, যারা আন্দোলনের মূল মাথা ছিলেন।
We were honored to be joined by Chief Advisor of Bangladesh Dr. Muhammad Yunus at #CGI2024. Watch his full remarks here: https://t.co/ikcJLuDvdb pic.twitter.com/SD6JWJ6EjM
— Clinton Global Initiative (@ClintonGlobal) September 25, 2024
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন মঞ্চে দাঁড়িয়ে, মহম্মদ ইউনূস বলেন, “ওদের বক্তব্য গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ওদের একাগ্রতা, প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই চালিয়েছিল। কোনওভাবে আন্দোলন থেকে পিছু হটেনি ওরা।”
ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের মঞ্চে ডেকে নেন মহম্মদ ইউনূস। পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের সঙ্গে। তাঁকেই বাংলাদেশের গণ আন্দোলনের পিছনের মূল মস্তিষ্ক হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেন। ইউনূস বলেন, “ওঁ বারবার অস্বীকার করে। বলে যে আমি নই, এই আন্দোলনের পিছনে অনেকে রয়েছে। তবে এটাই ওঁর পরিচয়। গোটা বিষয়ের পিছনে মস্তিষ্ক ছিল ওঁ।”
মহম্মদ ইউনূস বলেন, “এই আন্দোলন একদিনের ক্ষোভের বিস্ফোরণ নয়। বরং পরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খল আন্দোলন ছিল এটা। এমনভাবেই আন্দোলনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল যে কোনও নেতা যাতে একা না পড়ে যান বা গ্রেফতার না হন।”
পূর্ববর্তী হাসিনা সরকারের আমলে কীভাবে ছাত্রদের উপরে অত্যাচার হয়েছিল, তা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেন মহম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে ছাত্ররা কীভাবে বুলেটের সামনে রুখে দাঁড়িয়েছিল, তাও তুলে ধরেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।