ঢাকা: ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের (Bangladesh) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, জানুয়ারি মাসের শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বাংলাদেশে আসছে ৩ কোটি করোনা প্রতিষেধক। কিন্তু ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, আগে দেশের চাহিদা মিটিয়ে তারপরই অন্য দেশে রফতানি হবে করোনা প্রতিষেধক। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে করোনা টিকা রফতানির সময় নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতে একই সঙ্গে অনুমোদন পেয়েছে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন। সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কোভিশিল্ড সরবরাহ নিয়ে চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশের সংস্থা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল। চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ৬ মাস ৫০ লক্ষ করে মোট ৩ কোটি কোভিশিল্ড টিকা পাবে বাংলাদেশ।
ভারতে করোনা রেখাচিত্র নিম্নমুখী হলেও এখনও দেশে সংক্রমণের গতি খুব একটা কমেনি। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৩ হাজারের বেশি। এক্ষেত্রে সেরাম জানিয়েছে, আগে ভারতের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলিতে টিকা সরবরাহ করে তারপর বিদেশে সরবরাহ করবে। তবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী ভারত ও বাংলাদেশকে একই সঙ্গে টিকা দেওয়ার কথা সেরামের।
আব্দুল মান্নানের মতে, বাংলাদেশে বাদে সেরাম বাকি যেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে, এক্ষেত্রে সেইসব দেশকে পরে করোনা টিকা দেওয়ার কথা হয়ত জানিয়েছে পুনাওয়ালার সংস্থা। দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, ভারতকে ১০ কোটি টিকা দেওয়ার পরই বিদেশে টিকা রফতানি সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: কোভ্যাকসিনের ছাড়পত্র নিয়ে জলঘোলা বিরোধীদের, বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
পুনাওয়ালা এ-ও জানিয়েছেন, ভারত সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ৫ কোটি ডোজ় সরবরাহ করতে পারবেন। দেড় মাসের মধ্যেই ৮ কোটি ডোজ় দেওয়ার বিষয়েও আশাবাদী তিনি।