Bangladesh: হিন্দু সেজে লুকিয়ে ছিল, ফিল্মি স্টাইলে ‘পাতাল’ থেকে তুলে আনল পুলিশ!

Rajib Khan | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jun 30, 2024 | 1:17 PM

Bangladesh MP murder: কলকাতায় বাংলাদেশি সাংসদ হত্যার তদন্তে বড় সাফল্য পেল বাংলাদেশি পুলিশ। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পাতাল মন্দির থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার হল বাংলাদেশি সাংসদ আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামী। হিন্দু নাম নিয়ে, ছদ্মবেশে, গত ২৩ দিন ধরে সেখানে লুকিয়ে ছিল তারা।

Bangladesh: হিন্দু সেজে লুকিয়ে ছিল, ফিল্মি স্টাইলে পাতাল থেকে তুলে আনল পুলিশ!
গ্রেফতারের পর মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সল আলি সাজি
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

ঢাকা: কলকাতায় বাংলাদেশি সাংসদ হত্যার তদন্তে বড় সাফল্য পেল বাংলাদেশি পুলিশ। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পাতাল মন্দির থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার হল বাংলাদেশি সাংসদ আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামী। হিন্দু নাম নিয়ে, ছদ্মবেশে, গত ২৩ দিন ধরে সেখানে লুকিয়ে ছিল তারা। বুধবার রাতে, একেবারে ফিল্মি স্টাইলে হেলিকপ্টার নিয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালায় বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী। পরে বাংলাদেশ পুলিশ ওই দুই অভিযুক্তর গ্রেফতারির কথা ঘোষণা করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই ব্যক্তির নাম, মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সল আলি সাজি। তারা, হিন্দু নাম নিয়ে ছদ্মবেশে পাতাল মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিল। এই ২ জনকে গ্রেফতারের ফলে, বাংলাদেশি সাংসদ খুনে এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হল। সাতজনকে বাংলাদেশে পুলিশ এবং দুজনকে ভারতীয় পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা সকলেই বাংলাদেশি।

পুলিশ জানিয়েছে, ঝিনাইদহের সাংসদ আজীমকে হত্যার পর, গত ১৯ মে মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সল আলি সাজি, গোপনে ভারত থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। সোজা চলে গিয়েছিল চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে। সেখানে পাতাল কালীমন্দিরে আশ্রয় নেয়। ফয়সল নিজের পরিচয় দিয়েছিল পলাশ রায়। মোস্তাফিজ, নাম পাল্টে হয়েছিল শিমুল রায়। এই পরিচয়েই গত ২৩ দিন ধরে তারা মন্দিরেই ছিলেন। কিন্তু, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে ওই এলাকায় হানা দিয়ে ফয়সল ও মোস্তাফিজকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশি পুলিশ। মাঝরাতেই আসামিদের নিয়ে ঢাকায় ফেরে পুলিশের দলটি। বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে তোলা হবে।

হারুন অর রশীদ আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত একাধিক অভিযুক্ত ব্যক্তি, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সল আলি সাজি। তিনি আরও জানিয়েছেন, খুনের আগে ২ মে কলকাতায় এসেছিল তারা। এই খুনের ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেফতার হয়েছিল শিমুল ভূঁইয়া, তনভীর ভূঁইয়া ও সেলিস্তি রহমান। এরপরই গা ঢাকা দিয়েছিল মোস্তাফিজুর ও ফয়সল। এখন, এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড, আক্তারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেফতার করাই বাংলাদেশ পুলিশের লক্ষ্য। সে মার্কিন নাগরিক। তাঁকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে ভারত। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। শাহীনকে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছে ভারত।

Next Article