Pakistan: দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে সংখ্যালঘুরা? ধর্মদ্রোহিতা আইনই বুমেরাং হচ্ছে পাকিস্তানের কাছে?

Jun 27, 2024 | 8:05 PM

Pakistan: স্বাধীনতার পর ক্রমশ পাকিস্তান থেকে হারিয়ে গিয়েছেন সংখ্যালঘুরা। এই কথাগুলি এখন বেশি করে হচ্ছে কারণ পাক সরকার যে নিজেই এবার এই অভিযোগ মেনে নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার খাইবার পাখতুনখোয়ায় ধর্মের অবমাননার অভিযোগে মহম্মদ ইসমাইল নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনিতে আধমরা করে দেওয়া হয়।

Pakistan: দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে সংখ্যালঘুরা? ধর্মদ্রোহিতা আইনই বুমেরাং হচ্ছে পাকিস্তানের কাছে?
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: আইনের পথে না হেঁটে প্রায়শই গ্রামের মোড়লদের নিদানে নিরীহ মানুষদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি পেতে দেখা যায়। প্রায়শই যে সময় ঘটনাকে অনেকে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সঙ্গেও তুলনা করেন। কিন্তু, আইন নিজেই যদি কখনও নিরীহ মানুষের শাস্তির ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে? খারাপ লোকেরা যে তার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে পাকিস্তানে ব্লাসফেমি ল’ বা ধর্মদ্রোহিতা আইন নিয়েও বিতর্ক তুঙ্গে। যেখানে ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বললে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। মানে কারও যদি মনে হয় যে আমার ধর্মের এইসব জিনিসগুলি ভাল নয়, তাহলে আমি তা বলতে পারব না। আইনে এই সংস্থান থাকায় পাকিস্তানে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে প্রায়শই কিছু মানুষ আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়। নির্যাতন, হেনস্থা এমনকি সংখ্যালঘুদের ওইদেশে পিটিয়ে মারার ঘটনাও আকছার ঘটে। মুসলিমরাও এর থেকে বাদ যান না। অভিযোগ ওঠে, ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে অজুহাত দেওয়া হয় ধর্মদ্রোহিতার। 

এদিকে স্বাধীনতার পর ক্রমশ পাকিস্তান থেকে হারিয়ে গিয়েছেন সংখ্যালঘুরা। এই কথাগুলি এখন বেশি করে হচ্ছে কারণ পাক সরকার যে নিজেই এবার এই অভিযোগ মেনে নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার খাইবার পাখতুনখোয়ায় ধর্মের অবমাননার অভিযোগে মহম্মদ ইসমাইল নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনিতে আধমরা করে দেওয়া হয়। মাসখানেক আগে পাক পঞ্জাবে খ্রিস্টানদের ওপর আক্রমণ হয়। গণপিটুনিতে একজন মারা যান। এইরকম ঘটনা গুণে শেষ করা যাবে না। তবে এই দুটো ঘটনাকে সামনে রেখেই পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নিন্দা প্রস্তাব আসে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ এই প্রস্তাব নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ধর্মীয় কারণে যাঁরা হিংসার শিকার হচ্ছেন, তাঁদের রক্ষা করতে রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তান ব্যর্থ। দেশে কোনও ধর্মীয় সংখ্যালঘুই নিরাপদ নন। শুধু অ-মুসলিমরাই নন। মুসলিমদের ছোট গোষ্ঠীগুলিও হামলার শিকার হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে শিয়া ও আহমেদিয়া জনগোষ্ঠীর ওপর নানা হামলার দিকে ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

এই খবরটিও পড়ুন

প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে আইন করে আহমদিয়া জনগোষ্ঠীকে নন-মুসলিম ঘোষণা করা হয়। প্রকাশ্যে তাদের ধর্মাচরণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৭ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও বাস্তবে পরিস্থিতি বদলায়নি। কয়েকদিন আগেই ইদের সময় পশুবলি দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল পাকিয়ে প্রায় ৩৫ জন আহমেদিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। 

Next Article