Sheikh Hasina: বিশ্বের সব মুসলিম দেশে চলবে একটাই মুদ্রা? বড় প্রস্তাব হাসিনার

Mar 10, 2024 | 5:42 PM

Sheikh Hasina: ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলিতে একটিই মুদ্রা ব্যবস্থা চালু রয়েছে, ইউরো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি নিজেদের মধ্যে ইউরোতেই লেনদেন করে। মুসলিম দেশগুলিও নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে, নিজেদের একটি সাধারণ মুদ্রা চালু করার কথা ভাবছে।

Sheikh Hasina: বিশ্বের সব মুসলিম দেশে চলবে একটাই মুদ্রা? বড় প্রস্তাব হাসিনার
মুসলিম দুনিয়াকে বড় প্রস্তাব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আলাদা আলাদা মুদ্রা থাকে। ভারতের যেমন রুপি, বাংলাদেশের টাকা। কিন্তু, এবার মুসলিম দেশগুলি থেকে এই ভিন্ন ভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যেতে পারে। মুসলিম দেশগুলিতে চালু হতে পারে একটিই সাধারণ মুদ্রা। এই বিষয়ে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অনুসরণ করতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলিতে একটিই মুদ্রা ব্যবস্থা চালু রয়েছে, ইউরো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি নিজেদের মধ্যে ইউরোতেই লেনদেন করে। মুসলিম দেশগুলিও নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে, নিজেদের একটি সাধারণ মুদ্রা চালু করার কথা ভাবছে। বস্তুত, গত সপ্তাহে মুসলিম দেশগুলির সামনে এই প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্প্রতি ঢাকায় বসেছিল আট মুসলিম দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা গোষ্ঠী, ডি-৮-এর বাণিজ্য মন্ত্রীদের সম্মেলন। এই গোষ্ঠীর সদস্য হল – বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক। সম্মেলন চলাকালীন, তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী মোস্তাফা টিজকু এবং অন্যান্য দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের এক প্রতিনিধিদল, হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবনে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মুসলিম দেশগুলির একটি সাধারণ মুদ্রা ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “আমরা মুসলিম দেশগুলি যদি, আমাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে ইউরোর মতো একটি সাধারণ মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করতে পারি, তাহলে খুবই ভালো হয়।”

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বিশ্বের আটটি জনবহুল মুসলিম দেশকে নিয়ে ডি-৮ গোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে। এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য, নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি, এই দেশগুলির জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন। ডি-৮-এর উচিত ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি পরিবারের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। পাশাপাশি নিজেদের ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য একে অপরকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া।” ডি-৮ গোষ্ঠীর বাণিজ্যমন্ত্রীদের এই বৈঠকের মূল এজেন্ডা ছিল, সদস্য দেশগুলির মধ্যে একটি প্রেফারেন্স ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা পিটিএ স্বাক্ষর করা এবং গোষ্ঠীর কার্যকারিতার ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ।

Next Article