ঢাকা: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশও ছেড়ে গিয়েছেন। কিন্তু, কোটা সংস্কার আন্দোলনের জের এখনও স্তিমিত হয়নি। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা রয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সরকারও ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন। দেশ চালাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কারা থাকবেন? এই নিয়ে এবার একগুচ্ছ প্রস্তাব দিলেন পড়ুয়ারা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা কী হবে?
পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরেই হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা কী হওয়া দরকার, তা নিয়েও একগুচ্ছ প্রস্তাব দিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের প্রস্তাব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হোক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহম্মদ ইউনুসকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আর যাঁদের রাখার প্রস্তাব করেছেন পড়ুয়ারা, তাঁরা হলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, মতিউর রহমান চৌধুরী (মানবজমিন), ড. আসিফ নজরুল, ড. সলিমুলিলাহ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. সাখাওয়াত হোসেন, মেজর জেনারেল মুনিরুজজামান, আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলম, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ডা: পিনাকী ভট্টাচার্য, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং প্রজেশ চাকমা।
এছাড়াও আরও কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, সরকারের মেয়াদ ৩-৬ বছর (সর্বোচ্চ) হোক। মেয়াদ শেষের ৩ মাস আগে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট বিকালের মধ্যেই সরকার গঠন। প্রধান বিচারপতির অপসারণ/পদত্যাগ এবং দলবাজ বিচারপতিদের অপসারণ। তিন বাহিনী বাদে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন প্রধানদের অবসরে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা।
এখানেই শেষ নয়। আরও কয়েক দফা প্রস্তাব দিয়েছেন পড়ুয়ারা। তার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন। সংবিধান সংশোধন করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বাতিল। সরকারের সমস্ত চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল। ছাত্র-নাগরিক হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে অনেকের প্রাণ গিয়েছে। তাই জুলাই মাসকে জাতীয় শোকের মাস ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছেন পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, বিগত ১৫ বছরের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে ও শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা।