রাজীব খান ও জ্যোতির্ময় কর্মকার
ঢাকা ও নয়া দিল্লি: ইসকনের সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম,রংপুর জায়গায় জায়গায় অবরোধ বিক্ষোভ অশান্তির খবর। উঠেছে চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার অভিযোগ। বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগের ছবিও সামনে এসেছে। ইসকনের তরফে ভারত সরকারকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের সোমবারই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় ইসকনের সাধু তথা মুখপাত্র এবং সংখ্যালঘু আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। এরপর থেকেই তাঁর মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশে বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু হয়। মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালত থেকে হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার সময়ও তুমুল অশান্তি হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের। ওই সংঘর্ষের মাঝেই এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনা যেন আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে।
আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে যেমন আন্দোলন শুরু হয়েছে, তেমনই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতেও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। তবে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার ঘটনাই উঠে আসছে। আন্দোলনকারীদের উপরে নির্বিচারে অত্যাচার হচ্ছে বলেই অভিযোগ।
সকাল থেকে নতুন করে হিংসার খবর না মিললেও, আতঙ্কের আবহ রয়েছে। অন্যদিকে, হাইকোর্টে শুনানি চলছে ইসকন কীভাবে বাংলাদেশে এল, তা নিয়ে।
প্রসঙ্গত, গতকালই ভারত সরকারের তরফে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হওয়া অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশ সরকার আবার জানিয়েছে, এই বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের মন্তব্য দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত তলানিতে পৌঁছেছে। নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক নেই। বাণিজ্যিক সম্পর্কও প্রভাবিত হয়েছে ব্যাপকভাবে। বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করছে ভারত সরকার। সংসদের অভ্যন্তরেও আজ একাধিক সাংসদ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।