বাংলাদেশ: ১০ দিন ধরে জেলবন্দি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর জামিন মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু মঙ্গলবারই প্রকাশ্যে আসে , শুনানির ঠিক আগের দিন চিন্ময়কৃষ্ণর আইনজীবীর একটি ছবি। হাসপাতালে ICU-তে ভর্তি তিনি। মুখে মাস্ক, ভয়ানকভাবে জখম তিনি। জানা যায়, হামলার শিকার ওই আইনজীবী। আর তাতেই বিতর্কের পারদ চড়ে তুঙ্গে। এমনকি একটি ভিডিয়োতে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর আইনজীবীদের প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার বিষয়টিও সামনে আসে। এই পরিস্থিতিতে কেন চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে আইনজীবী দাঁড়ালেন না, এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন ইউনূস প্রশাসনের প্রেস সেক্রেটারি সফিকূল আলম। TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করলেন বিস্ফোরক। তিনি নাকি জানিনই না, চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী কেন তাঁর হয়ে মঙ্গলবারের শুনানিতে সওয়াল করলেন না?
সফিকূল বললেন, “চিন্ময় দাস প্রভুর একজন আইনজীবী রয়েছেন, আমি জানি না কেন তিনি তাঁর হয়ে লড়লেন না! আগের শুনানিতে তো ওঁ ছিলেন। কেন গতকাল আসলেন না, তা আমরা জানি না।”
সফিকূলের দাবি, যে আক্রান্ত আইনজীবীর ছবি সামনে এসেছে, তিনি নাকি চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীই নন। তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতেই বলেন, “যিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন, তিনি চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর আইনজীবী নন। তিনি রমেন রায়, তিনি অন্য একটা ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। ওঁর সঙ্গে চিন্ময়কৃষ্ণের কোনও সম্পর্ক নেই।”
কট্টরপন্থী আইনজীবীদের ভিডিয়ো প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে সফিকূল বলেন, “কে কী বলছে, সেটা শোনা আমাদের বিষয় নয়। তাঁর আইনজীবী যদি মনে করেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাহলে আমরা তাঁকে নিরাপত্তা দেব।” তাঁর বক্তব্য, “আমরাও চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনি লড়াইয়ের বিষয়ে তৎপর। আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।” আপাতত চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মামলার শুনানি এক মাস পিছিয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ প্রসঙ্গে সফিকূলের বক্তব্য, “আমাদের সংখ্যালঘু ভাইবোনেদের নিরাপত্তা যাতে সুনিশ্চিত থাকে, ক্ষমতার আসার পর থেকে ইউনূস প্রশাসন সেটাই ভেবে চলেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। আমরা মিলিটারিকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়া দিয়েছি, যাতে কোনও হামলা হলে, কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, প্রতিহত করতে পারে।”