ঢাকা: শনিবার দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। পদ্মা নদীর ওপর তৈরি হওয়া বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী সেতু ঘিরে সেদেশের জনগণ উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছিল। উদ্বোধনের পর এই সেতুকে ‘বাংলাদেশের গর্ব ও সক্ষমতার প্রতীক’ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন শেখ হাসিনা। রবিবার থেকে সাধারণের ব্যবহারের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেতু চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছিল বিপত্তি, পদ্মা সেতুতে (Padma Setu) বাইক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার পদ্মা সেতুর কারণে শ্রীঘরে যেতে হল ২ জনকে। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব পদ্মা সেতু নিয়ে সমালোচনা মূলক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করার কারণেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর সময় থেকেই এই নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। এমনকী এই সেতু নির্মাণ ঘিরে বিলম্বিত নির্মাণ কাজের পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগও সামনে এসেছিল। চলতি সপ্তাহের শেষে এই প্রচুর মানুষ যে সেতু উদ্বোধনের সাক্ষী ছিল, সেই সেতুকে ঘিরে একের পর বিপত্তি নতুন করে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখিছিলেন পদ্মা সেতুতে মূত্র বিসর্জন করতে করতে নিজের ছবি তুলতে চান, সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি খালেদা জিয়ার দল বিএনপির কর্মী। কোম্পানিগঞ্জের পুলিশ প্রধান সাদেকুর রহমান জানিয়েছেন, ব্রিজে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার আরও এক টিকটিক ব্যবহারকারীকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। টিকটকে একটি ছোট ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি দেখিয়েছিলেন যে পদ্মা সেতুর নাটবল্টু সহজেই খুলে ফেলা যায়। বায়াজিদ তলহা নামের ওই ব্যক্তিকেও সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে এদিনে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশের সম্মানহানি করার জন্য ওই টিকটকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।