নেত্রকোনা: বাংলাদেশের আজব এক ঘটনা সামনে । আয়াতুল ইসলাম নামে ৩৩ বছর বয়সী এক যুবক একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দেড় বছর কারাদণ্ডের শাস্তি পেয়েছিলেন। শাস্তির হাত থেকে বাঁচতে দীর্ঘ ৯ বছর পালিয়ে থেকেও শেষমেষ পুলিশের জালে ধরা পড়ল সে। রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ নেত্রকোনার কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আয়াতুল নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা।
কোন মামলায় শাস্তি পেয়েছিল আয়াতুল? স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে আয়াতুলের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ে ঠিক পর কয়েক মাসের মধ্যেই নিজের শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এই অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারায়, শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে সিলেটে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। সেখানে গিয়ে শাশুড়িকে বিয়ে করেছিল সে। ২০১১ শ্বশুরের করা মামলায় ২০১৩ তুলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ২ জরিমানার পাশাপাশি দেড় বছরের সাজা শুনিয়েছিলেন বিচারক।
সাজা ঘোষণার পর থেকেই আয়াতুল পলাতক। খবর পেয়ে রবিবার রাতে মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক, মমতাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আয়াতুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। সোমবার সকালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “রায় ঘোষণার পর থেকেই আয়াতুল পলাতক ছিল। সাজা ঘোষণার পর হাজার চেষ্টা করেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হবে তাঁকে।” আয়াতুলের শ্বশুর মতি মিয়া দেড় বছর আগে মারা গিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।