ঢাকা: সংবাদপত্র খুললেই হামেশাই চুরি-ছিনতাইয়ের বিভিন্ন প্রতিবেদন চোখে পড়ে। সাধারণভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলে, পুলিশে অভিযোগ জানানো ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশের (Bangladesh News) এক ঘটনা বিশেষভাবে সবার নজর কেড়েছে। রাজধানীর ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানার চত্বরে ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া। কাজ শেষ করে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাসে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় তাঁর স্মার্টফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে পালায় এক আততায়ী। তৎক্ষণাৎ বাস থেকে নেমে ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করলেও ধরতে পারেননি ওই ছাত্রী। মোবাইল ফোনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র থাকায় মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করছিলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যখন বুঝে উঠতে পারছেন না ঠিক কী করা উচিত, সেই সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে আরেক আততায়ী। রাগে, ক্ষোভে ছিনতাইকারীর পিছনে দৌড়তে শুরু করেন ওই ছাত্রী। ধাওয়া করে তাঁকে ধরে ফেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পড়ুয়া। স্মার্টফোন চুরি হয়ে যাওয়ার যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে, দ্বিতীয় ছিনতাইকারীর ওপর। রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন ওই পড়ুয়া। আশেপাশের প্রচুর মানুষ সেই সময় ঘটনাস্থলে জড়ো হন। মারধর করার পাশাপাশি দ্বিতীয় ছিনতাইকারীর পকেট খুঁজে একটি স্মার্টফোন উদ্ধার হয়। তবে সেটি ছাত্রীর খোয়া যাওয়া স্মার্টফোন নয়। মারধরের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে।
দ্বিতীয় ছিনতাইকারী মারফত তাঁর সঙ্গীকে ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বলা হয়। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে দুই ছিনতাইকারীকে তেজগাঁও থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তেজগাঁও থানা সূত্রে খবর, ছাত্রীর তরফে পুলিশের কাছে স্মার্টফোন হারিয়ে যাওয়ার কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। থানার ওসি অপূর্ব হাসান সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ছাত্রীকে অভিযোগ করতে বলা হলেও, তিনি রাজি হননি। তবে এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা রুজু করা হয়েছে।