চট্টগ্রাম: বেশি লাভের আশায় বেসরকারি সংস্থায় টাকা জমা করে সাধারণ মানুষ। কিন্তু চিট ফান্ডের প্রতারণায় সর্বস্বান্ত হতে হয় তাঁদের। পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক বছরে এ ধরনের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এ বার বাংলাদেশেও এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের সংস্থায় টাকা রেখে সব খুইয়েছেন গরিব মানুষরা।
বাংলাদেশের হালিশহরের বাসিন্দা প্রদ্যুৎ দত্ত। ছোট্ট দোকান ছিল তাঁর। তিল তিল করে জমানো টাকা তিনি রেখেছিলেন পাড়ার একটি সমবায় সমিতিতে। সেই সমিতিতে প্রদ্যুতের সঞ্চয় ১৬ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছিল। কিন্তু সম্প্রতি ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায় ওই সমিতির। এর পর প্রদ্যুতের তো মাথায় হাত। তিনি বুঝতেই পারছেন না, কী করবেন এখন। কোথা থেকে ফেরত পাবেন সারা জীবনের সঞ্চয়।
প্রদ্যুৎ একা নন। তার মতোই অবস্থা হয়েছে নিম্ন আয়ের প্রচুর মানুষের। ব্যাঙ্কের ঝামেলা এড়াতে সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতিতে টাকা জমা রেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু প্রায় ১০ বছর চলার পর ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই সমিতির। এই সমিতিতে যাঁরা টাকা রেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কেউ করেন দিনমজুরির কাজ, কারও ছিল ছোট দোকান, কেউ অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন, কেউ আবার পোশাক তৈরির কাজ করতেন। তাঁদের সব আমানত চলে গিয়েছে ওই সংস্থার প্রতারণায়। জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে ১০ কোটি টাকারও বেশি তুলেছিল ওই সংস্থা। সেখানে ঝাঁপ বন্ধ হওয়ার পর ওই সংস্থার অফিসের সামনে প্রতারকদের ছবি ঝুলিয়েছেন প্রতারকরা। এ নিয়ে মামলাও দায়ের হয়েছে। পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।