ঢাকা: অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন, কিন্তু মাঝপথেই শেষ হয়ে গেল সবকিছু। পদ্মা সেতুর (Padma Setu) পাড়েই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে গেল সাতজনের প্রাণ। শনিবার ফরিদপুর জেলায় পদ্মা সেতুর দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একটি অ্য়াম্বুল্যান্স (Ambulance)। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় গাড়িটিতে। অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে বেশ কয়েকজন ছিলেন। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে সাতজনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ পদ্মা সেতুর দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে এক্সপ্রেসওয়ের ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা ঘটে। অ্যাম্বুল্যান্সটি দ্রুতগতিতে গিয়ে ফ্লাইওভারের ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, অ্য়াম্বুল্যান্সে রাখা অক্সিজেন সিলিন্ডারে বিস্ফোরণের কারণেই আগুন ধরে যায়। আগুনে পুড়ে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অবধি নিহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে মৃতদের একই পরিবারের সদস্য় বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সটি ঢাকা আসছিল।
হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর জ়োনের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ভাঙ্গা স্টেশনের সাব-অফিসার রনেন্দ্রনাথ চৌধুরী জানান, অ্যাম্বুল্যান্সটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং আগুন নেভায়।
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে নিহতরা সকলে এক পরিবারের সদস্য। এখনও অবধি সাত জনের মৃত্য়ুর খবর পাওয়া গেলেও, নিহতের সংখ্যা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে। দুর্ঘটনায় ওই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক মৃদুল (৪১)-ও গুরুতর আহত হন। তাঁকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।