Bangabazar fire: পুড়ে ছাই ৩০৫ কোটি টাকার সম্পত্তি, নেপথ্যে মশার কয়েল না সিগারেট?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Apr 11, 2023 | 11:57 PM

Bangabazar fire: ঢাকার বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের পিছনে কোনও নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশেনের তদন্ত কমিটি।

Bangabazar fire: পুড়ে ছাই ৩০৫ কোটি টাকার সম্পত্তি, নেপথ্যে মশার কয়েল না সিগারেট?
সিগারেটের আগুন, অথবা মশার কয়েলের আগুন থেকে লেগেছিল বঙ্গবাজারের আগুন

Follow Us

ঢাকা: গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রায় ৪০০০ দোকান। ৩,৮৪৫ জন ব্যবসায়ী সর্বস্ব খুইয়েছেন। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩০৫ কোটি টাকার। দমকলের ৫০টি ইঞ্জিন সাড়ে ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। আর এত বড় ক্ষতির কারণ, হয় সিগারেটের আগুন, অথবা মশার কয়েলের আগুন! ঘটনার এক সপ্তাহ পর, আরেক মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশেনের তদন্ত কমিটি। এদিন বিকেলে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। তারা জানিয়েছে, এই বিশাল অগ্নিকাণ্ডের পিছনে কোনও নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বঙ্গবাজারের তৃতীয় তলের এক এমব্রয়ডারির দোকান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল।

‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই তদন্ত কমিটি আগুন লাগার কারণ হিসেবে তিনটি বিষয় বিবেচনা করেছে – বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, নাশকতা এবং দুর্ঘটনা। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মার্কেটে এমনিতেই আগুন লাগার ঝুঁকি ছিল। আর, সেই কারণেই দোকান মালিক সমিতি ওই বাজারে বৈদ্যুতিক হিটার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, রান্নার গ্যাসের ওভেন, মশার কয়েলের মতো জিনিসের ব্যবহার এবং ধূমপান নিষিদ্ধ করেছিল। তারপরও, তৃতীয় তলের ওই দোকানটিতে তালাবন্ধ অবস্থায় আগুন লেগেছিল। বাজারের নিরাপত্তাকর্মী ও বিদ্যুৎমিস্ত্রিদের সাক্ষ্য নিয়ে এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রশ্ন হল, তালাবন্ধ অবস্থায় দোকানটির ভিতর আগুন লাগল কীকরে?

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই দোকানটির ঠিক উপরে নিরাপত্তা কর্মীদের কক্ষ অবস্থিত। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের কক্ষের মেঝে কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি। তার মাঝে মাঝে ফাঁক রয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, মেঝের ওই ফাঁক দিয়ে দুটি কারণে আগুন লাগতে পারে। প্রথমত, নিরাপত্তাকর্মীদের কারও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে, মেঝের ফাঁক দিয়ে তৃতীয় তলে সিগারেট বা বিড়ি পড়তে পারে। তদন্ত কমিটি জেরা করে জেনেছে, হোসেন পাটোয়ারী নামে এক নিরাপত্তা কর্মীর ধূমপানের নেশা ছিল। সে নিজে ১৫-১৬ বছর আগে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার দাবি করলেও, অন্যান্যরা জানিয়েছেন, এক বছর আগেও এই বদ অভ্যাসের জন্য মার্কেট কমিটি তাঁকে সতর্ক করেছিল। কাজেই হোসেন পাটোয়ারী মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে থাকতে পারেন। দ্বিতীয়ত কারণ, তদন্ত কমিটি জেনেছে যে, বঙ্গবাজার মার্কেটে মশার উপদ্রব ছিল। কাজেই নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের ঘরে মশার কয়েল ব্যবহার করে থাকতে পারেন। সেই কয়েলের আগুন, মেঝের ফাঁক দিয়ে তৃতীয় তলে পড়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটাও অসম্ভব নয়।

Next Article