Bangladesh: ভর সন্ধ্যায় নৃশংস হামলা, দুই রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে খুন

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Oct 16, 2022 | 11:18 PM

রোহিঙ্গা শিবিরে নশৃংস হত্যা। কুপিয়ে মারা হল দুই রোহিঙ্গা নেতাকে। পুলিশ মনে করছে এর পিছনে মায়ানমারে যুদ্ধরত এক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।

Bangladesh: ভর সন্ধ্যায় নৃশংস হামলা, দুই রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে খুন
রোহিঙ্গা শিবিরে নৃশংস হত্যা

Follow Us

ঢাকা: বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে নৃশংস হত্যা। রবিবার বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, কক্সবাজার জেলার উখিয়ায়, বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শনিবার গভীর রাতে দুই রোহিঙ্গা নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের নাম, মৌলবী মহম্মদ ইউনুস (৪০) এবং মহম্মদ আনোয়ার হোসেন (৩৮)। পুলিশের মুখপাত্র ফারুক আহমেদ বলেছেন, “এক ডজনেরও বেশি রোহিঙ্গা দুর্বৃত্ত ১৩ নম্বর শিবিরের সর্বময় নেতা মৌলবী মহম্মদ ইউনুসকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা মহম্মদ আনোয়ার নামে ওই শিবিরেরই আরেক রোহিঙ্গা নেতাকেও হত্যা করেছে। ইউনুস ঘটনাস্থলেই মারা যান। আনোয়ারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।”

এই ঘটনাকে বাংলাদেশ পুলিশ সাম্প্রতিক মাসগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছে। ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুসারে, হামলার পরই ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই দুই রোহিঙ্গা নেতার হত্যার ফলে ওই শিবিরে বসবাসকারী প্রায় দশ লক্ষ উদ্বাস্তুরও সামগ্রিক নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ পুলিশ।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ের সহকারি পুলিশ সুপার মহম্মদ ফারুক আহমদ বলেন, শনিবার আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার একটি দোকানের সামনে স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আনোয়ার ও ইউনুস। হঠাৎ, ১৫-২০ জন দুষ্কৃতির একটি দল তাদের উপর চড়াও হয়। পুলিশের মতে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মহম্মদ আলি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদীরা মাদক পাচার, অস্ত্র পাচারে বাধা পাওয়াতেই রোহিঙ্গা শিবিরের নেতাদের বেছে বেছে হত্যা করেছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বাংলাদেশ পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, মায়ানমারে সেই দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বর্তমানে যুদ্ধ চলছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা এআরএসএ-র। এই জোড়া হত্যার পিছনে এই গোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের মতে, মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে। বিঘ্নিত হচ্ছে নিরাপত্তা পরিস্থিতি। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

Next Article