ঢাকা: ইদ-উল-আজহা (Eid al-Adha in Bangladesh) উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার চাদরে গোটা বাংলাদেশ (Bangladesh)। প্রধান নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ ও র্যাব। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা, নাশকতা এড়াতে এই সপ্তাহের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন বিখ্যাত জায়গাগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। অন্যদিকে ইদ-উল-আজহা নামাজ পড়ার বিষয়েও এবারে বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে সরকার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইদগাহে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় হাতে শুধুমাত্র জায়নামাজ ও ছাতা রাখা যাবে। প্রসঙ্গত, এই নামাজের সময় মেঝেতে ব্যবহার করা হয় এক ধরনের গালিচা। যা জায়নামাজ নামে পরিচিত।
ইদ-উল-আজহা উপলক্ষে প্রতি বছর বড় জমায়েত দেখতে পাওয়া যায় রাজধানী ঢাকাতেও। বিগত কয়েকদিন ধরেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে ঢাকাকেও। ঢাকার সবচেয়ে বড় জামাতের জায়গা জাতীয় ইদগাহেও নামাজ পড়তে জায়নামাজ আর ছাতা ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশাবলী জারি করে দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
এদিন সকাল ১০টা থেকে তিনি নিজে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন। তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। তবে ইদ-উল-আজহায় দেশে জঙ্গি নাশকতার কোনও আশঙ্কা নেই বলেই জানাচ্ছেন তিনি। তারপরও কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার। পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, “প্রতিটা চেকপোস্টে তল্লাশি চলবে। তারপরই ইদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। পাশাপাশি কোনওরকম নাশকতা আটকাতে আমাদের সিটিটিসি, সাইবার ইউনিট কাজ করছে। কোনও ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা তৈরি হলে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।” অন্যদিকে ইদ-উল-আজহা উপলক্ষে ইতিমধ্যেই দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।