ঢাকা: গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে হু হু করে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। যদিও ইদের জন্য লকডাউন আপাতত তুলে নেওয়া হয়েছে, তবে কয়েক দিনের মধ্যেই ফের লকডাউন জারি করা হবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প। শীতের সময় রফতানির চাহিদা বাড়ে। তাই এখন থেকে কাজ বন্ধ হলে বাড়বে সমস্যা। লকডাউনের মধ্যেও পোশাক কারখানা খুলে রাখার দাবি জানালেন মালিকরা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এক সচিবের সঙ্গে বৈঠকে করে এই দাবি জানান।
তাঁরা বলেন, এই খাতে সে দেশের রফতানি অনেক বেশি। শনিবার এই বিষয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকেই কোনও সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে কারখানা মালিকদের জানানো হয়েছে। ২৩ জুলাই থেকে নতুন করে শুরু হবে লকডাউন। ১৪ দিনের লকডাউনে কাজ বন্ধ রাখা হলে রফতানিতে গুরুতর সমস্যা তৈরি হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন মালিকরা। তাঁরা জানান, পোশাক তৈরির জন্য জুলই-আগস্ট মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশ্চাত্যের বাজারে শীত ও বড়দিনের সময় বিক্রি বেড়ে যায়। বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা মোট পোশাকের ৪০ শতাংশই এ দু’মাসে রফতানি হয় বলে জানিয়েছেন মালিকেরা। আরও পড়ুন: কয়েক কিলোমিটার দূরেই LAC! পাকা-পোক্ত ঘাঁটি বানাচ্ছে চিন