Bangladesh: সোনার গয়না চুরি করত জামাই, বিক্রি করত শ্বশুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Apr 14, 2023 | 8:58 PM

Bangladesh Crime News: সোনার গয়না চুরি করত জামাই এবং তার ভাই। আর তারপর সেই চুরির গয়না তুলে দিত শ্বশুরের হাতে। শ্বশুর সেই গয়না বিক্রি করত সোনার দোকানে। ভালই পরিকল্পনা করেছিলেন জামাই-শ্বশুর মিলিয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

Bangladesh: সোনার গয়না চুরি করত জামাই, বিক্রি করত শ্বশুর
প্রতীকী ছবি

Follow Us

ঢাকা: সোনার গয়না চুরি করত জামাই এবং তার ভাই। আর তারপর সেই চুরির গয়না তুলে দিত শ্বশুরের হাতে। শ্বশুর সেই গয়না বিক্রি করত সোনার দোকানে। পরে চোরাই গয়নার টাকা ভাগাভাগি হয়ে যেত তিনজনের মধ্যে। ভালই পরিকল্পনা করেছিলেন জামাই-শ্বশুর মিলিয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল), বাংলাদেশের ঢাকার সাভার ও চাঁদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামাই জুলহাস (৩১) এবং তার ভাই বিল্লাল হোসেন (২৬)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, শ্বশুর আলাউদ্দিনকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তার বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে। জামাই ধরা পড়ার খবর পেয়েই সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বৃহস্পতিবারের অভিযানে, লিটন বর্মণ নামের এক সোনার দোকানের মালিককেও গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি পুলিশ। অভিযোগ, তার দোকানেই চোরাই গয়না বিক্রি করত আলাউদ্দিন।

গ্রেফতারির সময় জুলহাস এবং তার ভাই বিল্লাল হোসেনের কাছ থেকে এক জোড়া হাতের চুরি, কানের দুল, একটি চেন, ৮ ভরি ১০ আনা গলিত সোনা এবং চুরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশি পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ ফেব্রুয়ারি মিরপুর মডেল থানার আহাম্মেদনগরে বাসিন্দা সিরাজুম মুনীরার বাড়ির তালা ভেঙে আনুমানিক ২৪ ভরি সোনা ও নগদ ৬০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জুলহাস ও বিল্লালকে শনাক্ত করা হয়। গোপন খবরের ভিত্তিতে প্রথমে সাভার গেণ্ডা বাসস্টেশন থেকে বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে, তাকে জেরা করে সন্ধান মেলে জুলহাসের। চাঁদপুরের মতলব থেকে তাকেও গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই দুই ভাইয়ের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলায়। ২০০৮ সাল থেকে চুরিতে হাত পাকিয়েছে তারা। গত ১৫ বছরে দুশোরও বেশি চুরির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তাদের। ১০ বার ধরাও পড়েছে, কিন্তু চুরির স্বভাব যায়নি। তবে, তাদের বিশেষত্ব হল, তারা শুধুমাত্র সোনা এহং নগদ অর্থ চুরি করে। এছাড়া, অন্যান্য চোরদের মতো রাতের অন্ধকারে নয়, এই দুই ভাই চুরি করে দিনের বেলা। এই সময় সাধারণত বাড়ির পুরুষরা অফিসে থাকেন। মহিলারা হয় কর্মস্থলে নয়তো শিশুর স্কুলে থাকেন। ফলে বাড়ি ফাঁকা থাকে। ঘুরে ঘুরে এমন বাড়ি চিহ্নিত করত বিল্লাল। পরে জুলহাস এবং সে দুজনে মিলে এসে সেই বাড়িতে চুরি করত। দুই ভাইয়ের মধ্যে জুলহাসই বড় হলেও, চুরিতে আগে হাত পাকিয়েছিল বিল্লালই। মাত্র ১১ বছর বয়স থেকেই চুরি করে সে। পরে জুলহাসকেও দলে টেনেছিল। প্রতিবার চুরির পরই শ্বশুরবাড়ি চলে যেত জুলহাস। বিক্রির জন্য চুরি করা সোনার গয়না তুলে দিত শ্বশুরের হাতে।

Next Article