ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) সালথায় করোনাবিধি কায়েম করতে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে লোকজনকে পেটানোর অভিযোগ। পাল্টা সালথার ক্ষুব্ধ জনতা সোমবার গভীর রাতে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন প্রথমে কাঁদানে গ্য়াস ও পরবর্তীকালে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। সেই ঘটনায় ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে সংবাদ মাধ্যম মারফত। যাঁদের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে ।
পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২২ বছর বয়সী জুবায়ের। তাঁর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের পুলিস সুপার মহম্মদ আলীমজ্জামান। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে, তবে এখনও মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। ঘটনার সূত্রপাত হয় সোমবার বিকেলে ফুকরা বাজারে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ফুকরা বাজারে লকডাউন কায়েম করতে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। তখন সেখানে এক ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ওঠে। তারপর গোটা উপজেলায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে, পুলিশের গুলিতে দু’জন নিহত হয়েছেন।
তারপরই থানায় চড়াও হন এলাকাবাসীরা। পুলিশ জানিয়েছে সন্ধেয় ৭টা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত সালথায় ব্যাপক সংঘর্ষ তলে। ঘটনায় ৭ পুলিশকর্মী-সহ ১০ জন আঘাত পেয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে প্রাথমি ৩২টি কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়েছে। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে শটগানের ৫৮৮টি গুলি ছোড়ে পুলিশ।