AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

লকডাউনের মধ্যেই খুলে দেওয়া হবে দোকান, শপিং মল, সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করার পাশাপশি দেশ জুড়ে লকডাউন (Lockdown) ঘোষণা হয়।

লকডাউনের মধ্যেই খুলে দেওয়া হবে দোকান, শপিং মল, সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে
| Updated on: Apr 23, 2021 | 2:01 PM
Share

ঢাকা: বাংলাদেশেও (Bangladesh) করোনা (COVID 19) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে লকডাউন (Lockdown) ঘোষণা করা হয়। তবে এবার কেনাকাটার জন্য দোকানপাট খুলে দেওয়া হচ্ছে রবিবার থেকে। প্রত্যেক দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকান ও শপিং মল।

শুক্রবার বাংলাদেশের কেবিনেট ডিভিশন এর তরফ থেকে একটি নোটিশ দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। তবে দোকান-শপিংমল গুলিকে কড়া কভিড বিধি মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী রবিবার থেকে শপিংমল ও দোকানপাট সারা দেশে খোলা রাখা যাবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে বাংলাদেশে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শুরু হয় বৃহস্পতিবার থেকে। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সেই লকডাউন জারি থাকবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করার পাশাপশি দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়।

লকডাউনে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সে দেশের সরকার। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এই বিধি ও নিষেধাজ্ঞার বাইরে। প্রথমে ব্যাংক বন্ধ করার কথা ঘোষণা হলেও পরে তা আবার খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর শিল্পকারখানাগুলো চালু রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: এভারেস্টেও হানা করোনার, অসুস্থ পর্বতারোহীর পরীক্ষা করতেই রিপোর্ট এল পজেটিভ!

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এই লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউন ঘোষণার ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে করছেন সে দেশের বিশেষজ্ঞরা। আরও দু এক সপ্তাহ কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকেই সে দেশে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।