‘আত্মনির্ভর’ হতে চাইছে বাংলাদেশ, রাশিয়া-চিনের টিকা উৎপাদনের চেষ্টায় হাসিনা

সুমন মহাপাত্র |

Apr 28, 2021 | 7:04 PM

আগেই রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-কে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যার ফলে বাংলাদেশে রাশিয়ার টিকার আমদানি ও প্রয়োগে কোনও বাধা নেই।

আত্মনির্ভর হতে চাইছে বাংলাদেশ, রাশিয়া-চিনের টিকা উৎপাদনের চেষ্টায় হাসিনা
ফাইল চিত্র

Follow Us

ঢাকা: ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ (Bangladesh)। সে দেশের সংস্থা ব্রেক্সিমকো মারফত সেরামের টিকা পৌঁছে যায় বাংলাদেশে। তবে টিকা উৎপাদন করে না কোনও বাংলাদেশি সংস্থা। তবে এ বার সেই কাজটাই করতে চাইছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা। ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও চিনের টিকা উৎপাদনের জন্য দেশি সংস্থাগুলিতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, রাশিয়া টিকা উৎপাদনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাই অতি দ্রুত নীতিগত অনুমোদনের বাস্তবায়ন করতে চলেছে হাসিনা প্রশাসন।

সেরাম বাংলাদেশে পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ করেনি। এই অভিযোগ আগেই করেছিল বাংলাদেশের টিকা বিতরণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা ব্রেক্সিমকো। সেই আবহে আগেই রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-কে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যার ফলে বাংলাদেশে রাশিয়ার টিকার আমদানি ও প্রয়োগে কোনও বাধা নেই। চিনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েও আলোচনা চলছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে বাংলাদেশ টিকার বিকল্প রাস্তা খুঁজবে। অর্থাৎ টিকার জন্য শুধু সেরামের ওপর নির্ভরশীল থাকতে চায় না হাসিনা প্রশাসন। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অর্থমন্ত্রী একটা বিষয় সাফ জানিয়েছেন, টিকার বিকল্প রাস্তা খোঁজা মানে এই নয় যে ভারত থেকে টিকার আমদানি বন্ধ হবে।

বাংলাদেশে টিকা তৈরির বিষয়ে সে দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিষয়টি পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে। রাশিয়া প্রযুক্তি নিয়ে এসে বাংলাদেশ টিকা তৈরি করতে রাজি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে টিকা বিতরণের দায়িত্বে থাকা ব্রেক্সিমকো সংস্থা আগেই জানিয়েছে, এই বছর টিকা উৎপাদনের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।

আরও পড়ুন: করোনা কড়চা: খোলা পরিবেশে বেশিদিন টিকতে পারে না ভাইরাস, দাবি গবেষণায়

Next Article