ঢাকা: বাংলাদেশের কোনও সরকারি হাসপাতালে এই প্রথম কোনও টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম হল। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্প্রতি টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম হয়েছে। ঢাকার হাসপাতালের চিকিৎসক সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে কন্যাশিশুটি জন্মেছে। এখন সে সুস্থ রয়েছে।
আধুনিক যুগে বন্ধ্যাত্বের সমস্যার অন্যতম হাতিয়ার টেস্ট টিউব শিশু। স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণে কোনও দম্পতি অসমর্থ হলে এই পদ্ধতির দ্বারস্থ হয়ে থাকেন। এই প্রক্রিয়ায় স্ত্রীর ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয় এবং স্বামীর শরীর থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করা হয়। তার পর সেই শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নিষেক গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে করা হয়। ভ্রূণের জন্ম হলে কিছুদিন পর তা গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। এর পর নির্দিষ্ট সময়ে প্রসব হয় সন্তানের। এই পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম হলে সেই সন্তানকে বলে টেস্ট টিউব শিশু।
বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে প্রথম টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম হলেও এর আগেও টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম হয়েছে বাংলাদেশে। ২০০১ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট টিউব শিশুর। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে এই সাফল্যে বিভিন্ন আর্থসামাজিক স্তরের মানুষের কাছে আশার খবর বলে মনে করছেন বাংলাদেশের চিকিৎসক মহলের একাংশ। কারণ বন্ধ্যাত্বের সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের একটি বড় অংশ ভারতে আসেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সকলের পক্ষে ভারতে চিকিৎসার খরচ করার মতো ক্ষমতা থাকে না। বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে তা চালু হলে, সেখানকার গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য তা খুব সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সে দেশের চিকিৎসকদের একাংশ।