নাটোর: বর্তমান সময়ে একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সামাজিক মাধ্যম (Social Media)। সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে অনেক সময়ই বিভিন্ন নতুন সম্পর্কের সূচনা হয় এবং সেই সম্পর্ক পরিণতি পায়। বাংলাদেশে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে আলাপ ও সেখান থেকে বন্ধুত্বের পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নাটোরের এক কলেজ ছাত্র ও শিক্ষিকা। ওই ছাত্রের নাম মামুন হোসেন (২২) এবং শিক্ষিকার নাম খাইরুন নাহার (৪০) । জানা গিয়েছে, দু’জনই নাটোরের গুরুদাসপুর এলাকার বাসিন্দা। বিয়ের পর বাড়ি ভাড়া করে নব দম্পতি একসঙ্গে থাকছেন বলেই জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, খাইরুন নাহার নামের ওই মহিলা গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা পদে কর্মরত। খাইরুনের আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল, এমনকী তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক সমস্যার কারণে এবং স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে বিয়ের বিবাহ-বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন খাইরুন। বিবাহ-বিচ্ছেদের বেশ কিছুদিন পর তাঁর সঙ্গে ফেসবুকে মামুনের পরিচয় হয়েছিল। মামুন এন এস সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। ফেসুবকে আলাপের পর ২০২১ সালের জুন মাস থেকে তাদের কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। কিছুদিন পরই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ মামুন ও খাইরুন বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তবে দু’জনের বিয়ের বিষয়টি গোপন ছিল, সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়েছিল।
সাংবাদিকদের খাইরুন বলেন, “বিবাহ বিচ্ছেদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আত্মহত্যা করব। তারপরই মামুনের সঙ্গে পরিচয়ের পর মন-প্রাণ দিয়ে সে আমাকে ভালবেসেছে। সেই কারণেই তাঁকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মামুনের পরিবার বিয়ে মেনে নিলেও আমার পরিবার মেনে নেয়নি।” অন্যদিকে মামুন বলেন, “বিয়ের কথা জানানোর পর অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করেছেন। কিন্তু কে কী বলল, তা গুরুত্ব না দিয়ে নতুন করে আমরা জীবন শুরু করেছি।”