সীতাকুণ্ড: বাংলাদেশের (Bangladesh News) চট্টগ্রাম (Chittagong) জেলার সীতাকুণ্ড কন্টেনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যেই ৫০ জন মারা গিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই অবস্থায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ভয়াবহ বিবরণ কন্টেনার ডিপোর এক নিরাপত্তারক্ষী। রবিবার নিরাপত্তারক্ষী মোস্তাফিজুর রহমান যে বিবরণ দিয়েছেন তা শুনে গায়ে কাঁটা দেবে। তিনি বলেন, “শনিবার রাতে আগুন গায়ে নিয়ে, জ্বলন্ত অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে এক ব্যক্তিকে আমরা দৌড়ে পালাতে দেখেছি। তাঁর দেহের আগুন নিভিয়ে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এখান থেকে আমরা ৩৩ টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। সবকটি মৃতদেহ আগুনে ঝলসে কালো হয়ে গিয়েছে। একজনের মুখ দেখে চেনার উপায় নেই।”
ভাগ্যের জোরে শনিবারের ভয়ানক অগ্নিকাণ্ড রক্ষা পেয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী মোস্তাফিজুর। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার রাতে কাজে যোগ দিতে আধঘন্টা দেরি হয়েছিল তাঁর, সেই কারণে এই যাত্রায় প্রাণ বেঁচে গিয়েছে। ওই নিরাপত্তারক্ষীর মতে, ডিপোতে দিন ও রাত মিলিয়ে মোট ৫০ জন নিরাপত্তারক্ষী কাজ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার সঙ্গে কাজ করে এমন অনেক সহকর্মী এখনও নিখোঁজ। তারা বেঁচে আছে কিনা জানিনা।”
অন্যদিকে উদ্ধারকারী দল সূত্রের খবর, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও অবধি যতগুলি দেহ উদ্ধার হয়েছে, সবকটি আগুনে পুড়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ডিএনএ পরীক্ষার পর দেহগুলি পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হবে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের চকবাজারের ডেপুটি কমিশনার শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সবকটি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় এবং তাদের ডিএনএ নমুনা সংরক্ষিত করে রাখা হবে। মৃতদেহের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া অবধি আমরা কোন বৃহ হস্তান্তর করবো না।” প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। কন্টেনার ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কারণেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে।