ঢাকা : এখনও করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেগুলি এখনই খুলছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী। আপাতত বন্ধ রয়েছে স্কুল। আর সেই মেয়াদ আরও বাড়তে চলেছে। আরও দুই সপ্তাহ ছুটি বাড়ানো হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষা মন্ত্রকের এক কর্তা এম এ খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সাংবাদিকদেরও শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যেহেতু সংক্রমণ এখন প্রায় ৩০ ভাগ, তাই হয়ত ৬ তারিখের পর আরও এক সপ্তাহ দেখা যেতে পারে। তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত অবস্থা পর্যালোচনা করছি। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটি আরও কিছুদিন দেখার পক্ষে মত দিয়েছে।
এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রকের তরফ থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়। এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের ওপরও বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়।
এ দিকে শীঘ্রই ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর আগে শুধু পড়ুয়াদের টিকা কেন্দ্রে এই ১২ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়া হত। এখন সেটা সবার জন্যই খুলে দেওয়া হবে। মন্ত্রী জানান, অনেকেই হয়তো স্কুলে আসে না, তাদের টিকার আওতায় আনতে তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক শিশু আছে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে, সে যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয় তাহলে ফোন নম্বর দিয়েও টিকা নিতে পারবে।
দেশের ১২ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে সরকার কাজ করছে। সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এমনটাই বললেন সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমাদের টিকা দেওয়ার টার্গেট সাড়ে ১২ কোটি। ইতিমধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আরও আড়াই কোটি মানুষ টিকার বাইরে রয়েছেন।