ঢাকা: বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় মশাবাহী এই রোগের দাপট বাড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে বাড়ির শিশুরা। শুক্রবার ঢাকার শিশু হাসপাতালে ৭৫ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত।
এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে এমন ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল ডেঙ্গু। কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল তাতে। এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অস্বাভাবিক ভাবে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ফের ভাবিয়ে তুলেছে সে দেশের চিকিৎসকদের। এই অবস্থায় কোনওভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও ফের পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে।
জানা যাচ্ছে, গত জুলাই মাসে সব মিলিয়ে দেশে ২ হাজার ২৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যা এই মরশুমে এক মাসের সর্বোচ্চ। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরের বছর তা অনেকটা কমে আসে। সে বার বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে মাত্র ১ হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হিয়েছিলেন।
গত তিন বছরের মধ্যে শুক্রবারই সব থেকে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৯ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। শুক্রবার সে সংখ্যা ছাপিয়ে গেল। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে বাংলাদেশে। অগস্টে প্রথম দিকেই ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে শুরু করে তা। মাঝে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও অগস্টের মাঝামাঝি ফের বাড়ছে ডেঙ্গুর দাপাদাপি। পুরনো ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল ও শ্যামলীর শিশু হাসপাতালেই মূলত করোনা আক্রান্ত শিশুদের ভর্তি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধি দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জানুয়ারি থেকে ১৭ অগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬,৬৫০ জন মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুর কারণে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচন্ড যন্ত্রণা হয়। তীব্র পেটে ব্যথাও হতে পারে। শরীরে বিশেষ করে মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হয়। জ্বরের ৪-৫ দিন পার হলে শরীর জুড়ে র্যাশ বা ঘামাচির মত লালচে দানা দেখা দিতে পারে। সঙ্গে বমির ভাব বা বমি হওয়ায় ডেঙ্গুর উপসর্গ। আরও পড়ুন: ‘আমার এখানে নিজের কেউ নেই’, আফগানিস্তান থেকে ভিডিয়ো কলে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন সখেরবাজারের যুবতী