Bangladesh: অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ধর্মঘট, না মানলে হতে পারে জেল-জরিমানা

Bangladesh Essential Services Bill 2023: বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল), বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রস্তাব করা হল অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল ২০২৩। বিলে অনুযায়ী, জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে সরকার কোনও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা অর্থাৎ জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট ডাকা নিষিদ্ধ করতে পারবে।

Bangladesh: অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ধর্মঘট, না মানলে হতে পারে জেল-জরিমানা
বাংলাদেশ সংসদ ভবন (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2023 | 4:07 PM

ঢাকা: ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা পেতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল), বাংলাদেশ সংসদে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল ২০২৩ প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বিলে বলা হয়েছে, সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কোনও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা অর্থাৎ জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট ডাকা নিষিদ্ধ করতে পারবে। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা দুই দণ্ডই একসঙ্গে দেওয়া যাবে। এই বিলে আরও বলা হয়েছে যে, সরকার প্রয়োজন মনে করলে কোনও প্রতিষ্ঠানে লকআউট ঘোষণা করাও নিষিদ্ধ করতে পারবে। নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে লেঅফ অর্থাৎ কর্মী ছাঁটাইও।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সংসদে বিলটি উপস্থাপন করেন সেই দেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান। বিলটি খতিয়ে দেখে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরির জন্য বিলটিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিষয়ে বাংলাদেশে দুটি আইন ছিল – ১৯৫৮ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (মেইনটেন্স) অ্যাক্ট এবং ১৯৫৮ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (সেকেন্ড) অর্ডিন্যান্স। নতুন বিলটি আইনে পরিণত হলে, এই দুটি আইন বাতিল হয়ে যাবে।

নয়া বিলে কোনগুলি অত্যাবশ্যক পরিষেবা, তার একটা দীর্ঘ তালিকা দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ই–কমার্স, ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবার মতো বিবিধ প্রয়োজনীয় পরিষেবা। বিলে আরও বলা হয়েছে, যে যে চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে জনকল্যাণমূলক পরিষেবাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এই রকম চাকরিগুলিকে বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার অত্যাবশ্যক পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে। এছাড়া, যে যে পরিষেবা বন্ধ থাকলে জনগণের অসহনীয় কষ্ট হবে বা হওয়ার আশঙ্কা আছে, এমন পরিষেবাগুলি এবং দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে এমন যে কোনও পরিষেবাকেও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বলেই গণ্য করা হবে।